ঢাকা মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ভিকারুননিসা ছাত্রীর আত্মহত্যা অধিকতর তদন্তে পিবিআই

ভিকারুননিসা ছাত্রীর আত্মহত্যা অধিকতর তদন্তে পিবিআই

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষিকা নাজনীন ফেরদৌস ও জিন্নাত আরার বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণা করেননি আদালত। পাঁচ দফায় রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত ভার দেয়া হয়েছে। গতকাল ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ-১২ আদালতের বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুনুর আদালত মামলাটির রায়ের পর্যায় থেকে উত্তোলন করে অধিকতর তদন্তের এই নির্দেশ দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী রাহিমুল করিম আকন্দ বিষয়টি জানিয়েছেন। গত ২১ জানুয়ারি মামলাটি রায়ের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে রায় প্রস্তুত না হওয়ায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি, ৩ মার্চ, ৯ এপ্রিল ও ৩ জুন এ মামলার রায় ঘোষণা হয়নি। গত বছরের ২৭ নভেম্বর একই আদালত রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে এ মামলায় রায় ঘোষণার জন্য ধার্য করেন। এর আগে ২০১৯ সালের ২০ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কাজী কামরুল ইসলাম ওই দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় শ্রেণি শিক্ষক হাসনা হেনাকে অব্যাহতি দেয়ার আবেদন করেন। এরপর ওই বছরের ১৬ জুলাই বিচারক হাসনা হেনাকে অব্যাহতি দেয়ার আবেদন মঞ্জুর করে তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন এবং দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে যে ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে ওই ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড অথবা অনধিক ১০ বছর কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে। মামলাটিতে ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর পরীক্ষা চলাকালে অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পান শিক্ষক। মোবাইল ফোনে নকল করেছে- এমন অভিযোগে অরিত্রীর মা-বাবাকে নিয়ে স্কুলে যেতে বলা হয়। দিলীপ অধিকারী তার স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে স্কুলে গেলে ভাইস প্রিন্সিপাল তাদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। অধ্যক্ষের কক্ষে গেলে তিনিও একই রকম আচরণ করেন। এ সময় অরিত্রী দ্রুত অধ্যক্ষের কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। পরে শান্তিনগরে বাসায় গিয়ে তিনি দেখেন, অরিত্রী তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় ঝুলছে। ওই ঘটনায় ২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর পল্টন থানায় তার বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত