প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের এন্ট্রি পদ থেকে দশম গ্রেড ও শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির দাবি জানিয়েছে বৈষম্য নিরসনে প্রাথমিক শিক্ষক সমন্বয় পরিষদ। গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন। লিখিত বক্তব্যে জাতীয় প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ফাউন্ডেশনের সভাপতি শাহীনুর আকতার বলেন, ২০১৫ সালে সর্বশেষ জাতীয় পে-স্কেল ঘোষণা করা হয়েছিল। সেখানেও প্রাথমিক শিক্ষকরা বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। এই দশ বছরে দ্রব্যমূল্য যে হারে বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে প্রাথমিক শিক্ষকরা বাজারমূল্য বহন করতে দিশেহারা। বিগত স্বৈরাচারী সরকারের মেয়াদে বেতন বৃদ্ধির আশ্বাস পেলেও তা আদৌ বাস্তবায়ন হয়নি। তিনি বলেন, ২০১৫ সালের পে-স্কেলে ২০টি গ্রেডে বেতন নির্ধারিত হয়েছিল। যার ২০ থেকে ১১তম গ্রেড পর্যন্ত গ্রেডের ব্যবধান নির্ধারিত হয়েছিল সর্বোচ্চ ৮০০ টাকা। অথচ দশম থেকে প্রথম গ্রেডের ব্যবধান রাখা হয়েছে সর্বোচ্চ ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত। যার ফলে ১৩তম গ্রেডধারী সহকারী শিক্ষক এবং ১১তম গ্রেডধারী প্রধান শিক্ষকের জীবনমানের কোনো উন্নয়ন ঘটেনি। শাহীনুর আকতার বলেন, ২০০৯ সাল থেকে বন্ধ থাকা প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি আজও আলোর মুখ দেখেনি। প্রাথমিক শিক্ষকদের সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করে একই পদে অবসরে যেতে হচ্ছে। তা ছাড়া প্রধান শিক্ষকদেরও বিভাগীয় পদোন্নতি ব্লক করে রাখা হয়েছে। বক্তব্যে আরো বলা হয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বৈষম্য নিরসনে সহকারী শিক্ষকদের জন্য ১২তম গ্রেডের, সহকারী প্রধান শিক্ষক ১১তম এবং প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড প্রদানের প্রস্তাব করেছেন। বৈষম্য নিরসনে প্রাথমিক শিক্ষক সমন্বয় পরিষদের পক্ষ থেকে এ প্রস্তাব প্রত্যাখান করে সহকারী শিক্ষক এন্ট্রি পদ ধরে দশম গ্রেড ও শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির দাবি জানাচ্ছি।