বাংলাদেশ নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কাউন্সিল থেকে সব বৈষম্য দূর করতে এবং বাংলাদেশ নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কাউন্সিল থেকে বিনা নোটিশে নার্সিং রেজিস্ট্রেশন কার্ড সরবরাহ বন্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে সোনার বাংলা নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন। গতকাল শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবাদ জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে ডিপ্লোমা ইন পেশেন্ট কেয়ার (নার্সিং) বিভাগ থেকে পাস করা ছাত্র-ছাত্রী। ২০০৫ সালে তৎকালীন সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ডিপ্লোমা ইন পেশেন্ট কেয়ার (নার্সিং) সহ সাতটি হেলথ টেকনোলজি কোর্স চালু হয়। ২০০৯ সালে সরকারের রদবদল হলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আন্ত মন্ত্রণালয় জটিলতার সৃষ্টি হয়। যে কারণে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে পাস করা ডিপ্লোমা ইন পেশেন্ট কেয়ারসহ (নার্সিং) সাতটি হেল্থ টেকনোলজি পাশ করা ছাত্র-ছাত্রীরা সরকারি ও বেসরকারি চাকরির ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হয়।’ সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ডিপ্লোমা ইন নার্সিং পাস করার পর বাংলাদেশ নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের অধীনে একটি কমপ্রিহেন্সিভ পরীক্ষার মাধ্যমে পেশাগত সনদ নিতে হয়। এটা সরকারি ও বেসরকারি চাকরির ক্ষেত্রে অপরিহার্য। সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিলের নিয়ম অনুযায়ী কমপ্রিহেন্সিভ পরীক্ষার মাধ্যমে পেশাগত সনদ দিতে হবে, সেই সঙ্গে অবৈধভাবে আমাদের ওপর ছয় মাসের প্রশিক্ষণ চাপিয়ে দেয়া হয় এবং কারিগরি শিক্ষাবোর্ড এই কোর্স চালাবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়। পরে আমরা বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিলের নিয়ম অনুযায়ী এক ও অভিন্ন প্রশ্নে পরীক্ষায় অংশ নেই এবং উত্তীর্ণ হই। কিন্তু এত কিছুর পরও আমাদের পেশাগত সনদ দেয়া নিয়ে শুরু হয় টালবাহানা। ছাত্র-ছাত্রীরা আবারো আন্দোলন করলে তৎকালীন রাষ্ট্রপতির নির্বাহী আদেশে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের তিন-চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন পেশেন্ট কেয়ার/ডিপ্লোমা ইন নার্সিং টেকনোলজি কোর্সকে বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিলের তিন বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সাইন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কোর্সর সঙ্গে সমতুল্য করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। তারপরও বৈষম্যে ভরপুর আলাদাভাবে একটি পোর্টাল তৈরি করে অনলাইন পেশাগত সনদ দেয়া হয়। যে কারণে আমরা বিক্ষোভ করি। পরে সচিব স্বাস্থ্য ও শিক্ষা, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি স্বাপেক্ষে আমাদের ১০ জনকে এক ও অভিন্ন পেশাগত সনদ দেয়া হয়। এরপর আবারো বন্ধ থাকে এই কার্যক্রম।’ সভাপতি মো. আলমগীর রানা বলেন, ‘ন্যায্য অধিকার থেকে আমাদের বঞ্চিত করা হলে আমরা কঠোর কর্মসূচিসহ আমরণ অনশনে যাবো। নার্সিং কাউন্সিল থেকে অনতি বিলম্বে এক ও অভিন্ন রেজিস্ট্রেশন কার্ড দেয়ার কাজ শুরু করার জোর দাবি জানাচ্ছি।’