ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের এডুকেশন (ডাম) সেক্টরের ডিআইসি ও নাইট শেল্টার প্রকল্পের আয়োজনে মিশনের প্রধান কার্যালয়ে গতকাল বুধবার ‘ন্যাশন্যাল ইভেন্ট উইথ জিও-এনজিও টু শোকেস লার্নিংস ফরম ডিআইসি অ্যান্ড নাইট শেল্টার’ শীর্ষক সভার আয়োজন করা হয়। পথশিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকারি-বেসরকারি প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. গোলাম রহমান।
সভায় উদ্দেশ্য ও ফলাফলের আলোকে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন এডুকেশন অ্যান্ড টিভিইটি সেক্টরের জয়েন্ট ডিরেক্টর মো. মনিরুজ্জামান। পথশিশুদের কার্যক্রমের অগ্রগতির উপর (অগ্রগতি, শিখন, সম্ভাবনা ও প্রতিবন্ধকতা) উপস্থাপন করেন ডাম শিক্ষা সেক্টরের কোআরডিনেটর এমএন্ডই শেখ শফিকুর রহমান। প্রেজেন্টেশনের পরে মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে সরকারি-বেসরকারি প্রতিনিধিবৃন্দ তাদের মতামত ও পরামর্শ প্রদান করেন। মুক্ত আলোচনায় পথশিশু ও কর্মজীবী শিশুরা তাদের সমস্যা, প্রতিবন্ধকতা ও চাওয়া তুলে ধরেন।
মুক্ত আলোচনায় পরে অতিথিবৃন্দবৃন্দের বক্তব্যে ডামের নির্বাহী পরিচালক মো. সাজেদুল কাইয়ুম দুলাল বলেন, লানিং শেয়ারিং সভায় সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ, এনজিও প্রতিনিধিবৃন্দ ও মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের সম্মিলিত অংশগ্রহণ, আলোচনা ও মতামতের মাধ্যমে ডিআইসির গুণগত দিকসূমহের উন্নয়ন ঘটবে বলে আশা করা যায়।
একইসাথে প্রকল্প এলাকার সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও তাদের সেবাসমূহ প্রাপ্তি, কেন্দ্র পরিদর্শন ও মনিটরিং জোরদার, সুষ্ঠুভাবে কেন্দ্র পরিচালনা জন্য ভবিষ্যত কর্মসম্পর্ক তৈরি হবে। অনুষ্ঠানে বক্তারা পথশিশুদের বিবিধ সমস্যা তুলে ধরেন এবং সমাধানের জন্য সমনি¦ত কার্যক্রমের আহ্বান জানান। ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. গোলাম রহমান বলেন, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জীবনমান উন্নয়নে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন কাজ করছে। অনেক সংগ্রামের মধ্যেও এসএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়েছে।
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. আবু তৈয়ব আবু আহমেদ বলেন, শিশুদের উন্নয়নের জন্য ভালো কাজে আপনারা নিয়োজিত আছেন। সবাই মিলে সম্মিলিতভাবে কাজ করলে সফল হওয়া যায়। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জি. এএফএম গোলাম শরফুদ্দিন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. কাজী শরীফুল আলম। উল্লেখ্য যে, ডাম শিক্ষা সেক্টরের ডিআইসি প্রকল্প ঢাকা শহরে দুটি ড্রপ ইন সেন্টারের মাধ্যমে ৮০০ শিশু যাদের বয়স ৮-১৮ বছর তাদেরকে তালিকাভুক্ত করে বিভিন্ন সহযোগিতা প্রদান করছে। প্রত্যেক শিশুকে আলাদাভাবে বিবেচনায় এনে তাদের উপযোগী সহায়তা প্রদানের জন্যে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা গ্রহণ করছে। প্রতি মাসে শিশুর অগ্রগতি পর্যালোচনা ও সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে শিশুদের প্রয়োজনীয় খাদ্য, বস্ত্র, স্বাস্থ্যসেবা, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা, নাইট শেল্টার সেবা নিশ্চিত করছে। ভালোভাবে বাঁচা ও সুষ্ঠু বিকাশের স্বার্থে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের (শিশুদের চাহিদা মাফিক প্রশিক্ষণের ট্রেড নির্ধারন করা হবে যেমন: টেইলারিং, বিউটি পার্লার, মোবাইল সার্ভিসিং, থাই শো-পিছ, কটন ডলসহ অন্যান্য হস্তশিল্প) মাধ্যমে প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে ও সংশ্লিষ্ট চাকরি প্রাপ্তিতে সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। পাশাপাশি, পরিবারে ফিরিয়ে এনে বিকাশে সহযোগিতা করা, সব রকম ভয়-ভীতি থেকে মুক্ত রাখা, সকল প্রকার সহিংসতা ও অমর্যাদা থেকে সুরক্ষা প্রদান এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবায় প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত করা হচ্ছে।