বিজয় মেলায় জনস্রোত

প্রকাশ : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

মেলার ভেতরে, বাইরে পা ফেলার জায়গা নেই বললেই চলে। মূল ফটকে জনস্রোতের ধাক্কা। নারী, শিশু ছাড়াও তরুণ-তরুণীদের উপস্থিতি বেশি। স্টলগুলোতে উপচে পড়া ভিড়। তবে কেনাকাটা কম। গতকাল শুক্রবার ছুটির দিন বিকেলে কাজীর দেউড়ির বিজয় মেলায় ছিল এমন চিত্র। সপরিবারে মেলায় এসেছিলেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আবদুল খালেক। তিনি প্রধান ফটকে ভিড় দেখে মেলায় ঢোকার সাহস পাননি। ফিরে যাওয়ার সময় বলেন, বিজয় মেলা চট্টগ্রামের একটি বড় মেলা। ছোট্ট পরিসরে এত বড় মেলা আয়োজন সম্ভব না। আয়োজকদের উচিত মেলায় প্রবেশ ও বের হওয়ার অন্তত চারটি ফটক করে দেয়া। বন্ধুদের সঙ্গে মেলা দেখতে এসেছিলেন কলেজছাত্রী তাসলিমা নাসরিন। তিনি বলেন, মেলার ভেতরে ঢোকা তো দুঃস্বপ্ন। মেলার দক্ষিণ পাশের সড়কের যে ফুটপাত তা-ও ভাড়া দেয়া হয়েছে দোকানিদের কাছে। হেঁটে যে প্রবেশপথে যাবো তার উপায় নেই। বাধ্য হয়ে ফিরে যাচ্ছি। সবাই যে ফিরে যাচ্ছেন তা কিন্তু নয়। অনেকে সাহস করে ভিড় ঠেলে ঢুকছেন মেলায়। কেউ কেউ শিশুসন্তানকে কাঁধে নিয়ে ভিড়ের ঝাপটা এড়িয়ে মেলায় ঢুকতে দেখা গেছে। একজন দোকানি জানান, ছুটির দিনে দর্শক সমাগম হয়েছে বেশি। কিন্তু ক্রেতা নেই। যারা এসেছেন তারা মেলায় ঘুরে ফুচকা, চটপটি খেয়ে বাসায় ফিরছেন। গত ১১ ডিসেম্বর শুরু হওয়া ছয় দিনের বিজয় মেলায় মাটির জিনিস, কুটির শিল্প, হাঁড়ি-পাতিল, খেলনা, ওড়না, ত্রিপিস, চুড়ি, ইমিটেশনের গহনা, ব্লেজার, শীতের পোশাক, মুড়ি মুড়কি, চটপটি, ফুচকা, বগুড়ার দই, ব্যাগ, পাপোসসহ বিভিন্ন ধরনের গৃহস্থালি সামগ্রীর শতাধিক স্টল রয়েছে। বিজয় মেলা উদযাপন পরিষদের সদস্যসচিব আহমেদ নেওয়াজ বলেন, ১৯৮৯ সালে যেখানে বিজয় মেলা শুরু হয়েছিল সেখানে এবারের বিজয় মেলা উদ্বোধন হলো। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীরপ্রতীকের ইচ্ছায় এবারের মেলার আয়োজন। সরকার এ মেলা আয়োজনে আমাদের অনেক সহযোগিতা করেছে। এটা সবার মেলা, জনগণের মেলা। বায়ান্ন, ঊনসত্তর, একাত্তর, নব্বই, চব্বিশে কী হয়েছিল সেই বিষয়গুলো প্রজন্মকে জানানোর জন্য এ মেলার আয়োজন। এখানে আমাদের অনেক স্মৃতি।