বর্তমান জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে ভেঙে একটি উচ্চ পুনর্গঠন কমিটি গঠন করে নতুনভাবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন প্রণয়ন করাসহ ৯ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন। গতকাল রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরি হলে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান কমিশনের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সেক্রেটারি জেনারেল ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার সেক্রেটারি।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের অন্যান্য সুপারিশগুলো হচ্ছে- অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অবশ্যই একটি নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে ক্ষতিগ্রস্ত মানবাধিকার কর্মী যথাক্রমে নিহত, নিখোঁজ (গুম) এবং আহতদের নামের তালিকা তৈরি এবং নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে; জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে অবশ্যই সরকারের দালালি করার কাজে নিয়োজিত করা যাবে না। এবং এটিকে একটি নিরপেক্ষ ও স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে রূপ দিতে হবে; বিগত স্বৈরাচার সরকার এবং কামাল উদ্দিন বাহিনীর হাতে নির্যাতিত মানবাধিকার কর্মী যথাক্রমে নিহত, নিখোঁজ (গুম) এবং আহতদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে; জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সরাসরি হস্তক্ষেপে ও চাপ দিয়ে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ৩টি রেজিস্ট্রেশন স্থগিত রয়েছে।
স্থগিত নিবন্ধনগুলো পুনরায় চালু করতে হবে। এছাড়া স্বৈরাচার সরকারের দোসর সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং ফরমায়েশি বিচারপতি ও বিচারকদের তালিকা তৈরি করে অবিলম্বে তাদের অপসারণ করতে হবে; মৃত্যুদণ্ড আইন বাংলাদেশে বাতিল-রোহিত করতে হবে: যাবত জীবন কারাদণ্ড আইন সংশোধন করতে হবে এবং ৯০ কর্ম দিবসের মধ্যে বিচার কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, উপস্থাপিত ৯টি দাবি মানবাধিকার কর্মীদের নিরাপত্তাসহ সারা দেশে ১৭ কোটি মানুষের দাবি হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এই দাবি বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে মেনে নেয়ার জোর আহ্বান জানাচ্ছি।
সরকার আমাদের দাবি না মানলে ৪ সপ্তাহ পর থেকে সারাদেশ ও বিদেশের শাখাগুলো একযোগে নিজ নিজ এলাকায় শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন, অবস্থান ধর্মঘট এবং স্মারকলিপি পেশ করবে। সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি প্রকৌশলী কাজী রেজাউল মোস্তফাসহ কমিশনের অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।