মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক দেশের জন্য বিশাল অর্জন
বললেন প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
প্রকাশ : ১৯ মার্চ ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক

গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিকের (এমভিসি) সেবা পৌঁছে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এমভিসি একটি বড় অর্জন। তবে এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। গত সোমবার বিকালে মহাখালীতে প্রাণিসম্পদ গবেষণা কেন্দ্র (এলআরআই) প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ১১৫টি উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক (এমভিসি) সরবরাহ উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপদেষ্টা জানান, এমভিসি গাড়ির মতো চার চাকা হলেও এটি গাড়ি নয়, এটি হলো একটি হাসপাতাল, যেখানে প্রাণী চিকিৎসার সব কিছুই থাকছে। থাকছেন একজন সার্জনও। এ সময়ে উপদেষ্টা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশে বলেন, এই সেবা প্রত্যন্ত খামারীদের কাছে পৌঁছাতে হবে। এর অন্য কোনো ব্যবহার যাতে না হয়, সেদিকে নজর দিতে হবে।
তিনি বলেন, অনেক সময় দেখা যায়, বড় বা বাণিজ্যিক খামারগুলোকে আমরা সেবা দেই। এক্ষেত্রে তাদের সেবার পাশাপাশি গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত খামারিদের কাছে পৌঁছানোর ব্যবস্থা নিতে হবে। তারা যাতে এ সেবার বিষয়ে জানতে পারেন, সেই উদ্যোগ নেয়ার আহ্বানও জানান তিনি। মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিকের সেবাটি ফ্রি ও ভালো উদ্যোগ উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, গ্রামীণ মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক হলেও আছে।
এখন থেকে প্রাণীর সেবায় চালু হচ্ছে এমভিসি। তবে এর সেবা নিশ্চিত করার জন্য ভেটেরিনারি চিকিৎসকদের সচেতন এবং সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি আরও বলেন, মানুষের নিরাপদ আমিষ নিশ্চিত করতে এই ভেটেরিনারি ক্লিনিক বা ‘প্রাণীর পাশেই ডাক্তার’ এর গুরুত্ব বেশি। কোনো প্রাণী অসুস্থ হলে আশপাশের অনেক প্রাণীও অসুস্থ হতে পারে। বিষয়টি বিবেচনায় রেখে সব প্রাণীর সেবা নিশ্চিত করতে হবে, যেন অসুস্থ প্রাণী বাজারে অসতে না পারে। হাঁস-মুরগি থেকে শুরু করে সব গবাদি পশু ও পাখির সেবা নিশ্চিত করতে হবে।