‘তামাকমুক্ত ও জনস্বাস্থ্য সচেতন বাংলাদেশ চাই’

প্রকাশ : ০১ আগস্ট ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

তামাক কোম্পানির প্রভাবমুক্ত নীতিনির্ধারণ নিশ্চিত করাই জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষার প্রথম ধাপ বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তামাক নিয়ন্ত্রণ চুক্তি ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি)-এর আর্টিকেল ৫.৩ অনুযায়ী তামাক কোম্পানির বাণিজ্যিক স্বার্থ এবং জনস্বার্থ কখনও এক হতে পারে না। সরকারকে তামাক কোম্পানির প্রভাব থেকে মুক্ত থেকে জনস্বাস্থ্যবান্ধব নীতিনির্ধারণে অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন আয়োজিত ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এফসিটিসি’র বাস্তবায়ন ও আর্টিকেল ৫.৩ প্রতিপালনে সরকারের দায়বদ্ধতা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘তামাক কোম্পানির কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রম আসলে পণ্য প্রচার এবং নীতিনির্ধারকদের প্রভাবিত করার কৌশল মাত্র।’ অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তামাকবিরোধী জোটের সমন্বয়কারী সাইফুদ্দিন আহমেদ, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সহ-সভাপতি ড. মোহাম্মদ খলিলউল্লাহ, ৭১ টিভির বিশেষ প্রতিনিধি সুশান্ত সিনহা এবং গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সদস্য ডা. শহিদুল আলম। মূল প্রবন্ধে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ বলেন, বাংলাদেশে তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তারা মিথ্যা প্রচার, লবিং ও প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে আইন দুর্বল করার চেষ্টা চালায়। অথচ এফসিটিসির আর্টিকেল ৫.৩ তামাক কোম্পানির সঙ্গে সরকার ও নীতিনির্ধারকদের সম্পর্ক সীমিত রাখতে নির্দেশনা দেয়। ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সভাপতি প্রফেসর ড. গোলাম রহমান সভাপতিত্বে সেমিনারের স্বাগত বক্তব্য দেন, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের সমন্বয়কারী শরিফুল ইসলাম।