‘সম্প্রীতির দেশ গড়তে পারলেই দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে’

প্রকাশ : ০২ আগস্ট ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

সম্প্রীতি ও বন্ধুত্বের দেশ গড়তে পারলেই দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে এমন মন্তব্য করে বাংলাদেশ বন্ধু সমাজের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, নতুন বাংলাদেশ গড়তে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেনো অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়ে সেই প্রত্যাশা করছি।

গতকাল শুক্রবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ বন্ধু সমাজ আয়োজিত ‘আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপনপূর্বক সম্প্রীতি ও বন্ধুত্বপূর্ণ নতুন বাংলাদেশ সরকার প্রাপ্তির প্রত্যাশা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন ও আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বন্ধু সমাজের সভাপতি এফ. আহমেদ খান রাজীব। ‘মানুষের মাঝে বন্ধুত্ব ও সম্প্রীতির পরিবেশ সৃষ্টি করাই হচ্ছে বাংলাদেশ বন্ধু সমাজের মূল লক্ষ্য’ এমন মন্তব্য করে রাজীব খান বলেন, হিংসাবিদ্বেষ-অহংকার পরিত্যাগ করে ভ্রাতৃত্ব-বন্ধুত্ব-সৌহার্দের মিশ্রণে সম্প্রীতি ও বন্ধুত্বের দেশ গড়তে পারলেই দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। এসময় আহমেদ খান রাজীব বলেন, সকল পক্ষের সেতু বন্ধনে দেশব্যাপী জেলা, উপজেলা, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভ, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে জাতীয় সামাজিক সংগঠন বাংলাদেশ বন্ধু সমাজ এর ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হবে। ক্রোধমুক্ত-হিংসাবিহীন সত্যের স্বপক্ষের মানুষদের কমিটিতে যোগদান হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

এসময় তিনি বিগত বছরগুলোর ন্যায় ২৩ নভেম্বর ‘হিংসামুক্ত বিশ্ব সম্প্রীতি দিবস’ পালন করার আহ্বান জানান। বাংলাদেশ বন্ধু সমাজের সভাপতি বলেন, স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশ বন্ধু সমাজকে সাংবিধানিক বৈধতাসহ জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি প্রদান অথবা জাতীয়করণ করার জন্য শান্তিকামী দেশবাসীর পক্ষে রাষ্ট্রপতি ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ সকল নীতি-নির্ধারক মহোদয়গণকে অনুরোধ করছি।

এসময় তিনি বাংলাদেশ বন্ধু সমাজের পক্ষ থেকে দেশের বিপদগামী মানুষকে সকল প্রকার অনৈতিক কর্মকান্ড পরিহার করে সুপথে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।

রাজীব খান আরও বলেন, বাংলাদেশ বন্ধু সমাজের পক্ষে ২০২০ সালে প্রথম ৩১ ডিসেম্বর ‘কৃতজ্ঞতা প্রকাশ দিবস’ পালন করা হয়।

এর ধারাবাহিকতায় আগামী ৩১ ডিসেম্বর ‘কৃতজ্ঞতা প্রকাশ দিবস’-এ ভালো কর্মের জন্য দেশবরেণ্য ৫০ জন ব্যক্তিকে কৃতজ্ঞতা সম্মাননা পদক উপহার দেওয়ার প্রত্যাশা করছি। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বন্ধু সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।