নভেম্বরে ‘বে অব বেঙ্গল’ সম্মেলন হবে ঢাকায়
প্রকাশ : ০৯ আগস্ট ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক ভূরাজনৈতিক বিষয়াবলি নিয়ে চতুর্থবারের মতো আয়োজন করা হবে বার্ষিক ‘বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন-২০২৫’ এর। আগামী ২২ থেকে ২৪ নভেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য এই সম্মেলনের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘বিরোধ, বিভাজন ও পুনঃসমীকরণ’। সেন্টার ফর গভার্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস)-এর মিডিয়া রিলেশনস অ্যান্ড কমিউনিকেশন কো-অর্ডিনেটর সঞ্জয় দেবনাথ গতকাল শুক্রবার এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক শক্তি বিন্যাসের পরিবর্তন, আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলসহ বিশ্বজুড়ে নিরাপত্তা, অর্থনীতি ও জলবায়ু সংশ্লিষ্ট অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে এই প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সিজিএস-এর আয়োজনে পূর্ববর্তী সম্মেলনের সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এবারের আয়োজনে বিশ্বের ৮০টিরও বেশি দেশ থেকে কমপক্ষে ২০০ বক্তা এবং ৮০০ অংশগ্রহণকারী উপস্থিত থাকবেন। এরমধ্যে থাকবেন রাষ্ট্রপ্রধান, মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, কূটনীতিক, সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, শিক্ষাবিদ, গবেষক, গণমাধ্যমকর্মী ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি। সংগঠনটি মনে করে, বিশ্ব যখন ঐতিহ্যগত মৈত্রী কাঠামোর পুনর্বিন্যাস ও ভাঙনের মধ্যে দিয়ে অগ্রসর হচ্ছে, তখন এই সম্মেলন ‘বিশ্ব দক্ষিণ’-নেতৃত্বাধীন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে। এখানে ক্ষমতার পুনঃসংজ্ঞা, প্রযুক্তিগত বিশৃঙ্খলা, জলবায়ু পরিবর্তন, সংঘাত ও সংযোগের ছেদবিন্দুতে গুরুত্বপূর্ণ সংলাপের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এই বছরের সম্মেলনের পাঁচটি মূল আলোচ্য বিষয়: পরিবর্তনশীল মৈত্রী ও ক্ষমতার নতুন জ্যামিতি; সংকটের বহুমুখী বিস্তার: যুদ্ধ, ভঙ্গুরতা ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার অবসান; কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, বিভ্রান্তি ও জ্ঞানের অস্ত্রায়ন; নিষেধাজ্ঞা, ঋণ ও ঝুঁকি হ্রাসের যুগে অর্থনৈতিক পুনর্বিন্যাস এবং উষ্ণায়নকালীন সময়ে জলবায়ু, সীমান্ত ও নিরাপত্তা। সিজিএস আশা করছে, দক্ষিণ এশিয়ার প্রাসঙ্গিক ও গতিশীল ভূরাজনৈতিক সম্মেলনগুলোর অন্যতম হিসেবে ‘বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন ২০২৫’ হয়ে উঠবে এমন একটি মঞ্চ, যেখানে চিন্তাবিদ, নীতিনির্ধারক ও নেতৃত্বশীল ব্যক্তিরা বর্তমান বিশ্বের জটিল বাস্তবতা নিয়ে মতবিনিময়ের সুযোগ পাবেন এবং ভবিষ্যতের করণীয় নির্ধারণে ভূমিকা রাখবেন। সম্মেলনটি শুধু আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য উন্মুক্ত এবং অংশগ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক। সম্মেলন বাস্তবায়নে বিভিন্ন সরকার, আন্তর্জাতিক সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী, কূটনৈতিক মিশন, বহুজাতিক ও দেশীয় প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা থাকবে।
