সরকার টেকসই উন্নয়নের বিভিন্ন উদ্যোগে জনগণকে সম্পৃক্ত করছে
বললেন পরিবেশ উপদেষ্টা
প্রকাশ : ২৪ আগস্ট ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
বাসস

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বর্তমান সরকার টেকসই উন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে এবং জনগণকে সম্পৃক্ত করছে। তিনি দেশ নিয়ে নতুন করে ভাবার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সরকার দিক-নির্দেশনা দেবে, কিন্তু পরিবর্তনের পথে এগিয়ে আসতে হবে সবার। গতকাল শনিবার ঢাকার মতিঝিলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ফোকাস গ্রুপ ডিসকাশন (এফজিডি) শীর্ষক ‘ডি-সেন্ট্রালাইজেশন অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ওয়েলফেয়ার অফ দ্য ক্যাপিটাল : টুয়ার্ডস আ সাসটেইনেবল ঢাকা’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ভবন ও কক্ষের নকশা পরিবেশ বান্ধবভাবে করতে হবে একথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, গ্রামীণ আবহই টেকসই এবং একজন আদর্শ কৃষকের জীবন যাপনই টেকসই উন্নয়নের প্রতিচ্ছবি। অনাবৃত জায়গায় ঘাস লাগাতে হবে। শুধু সরকারের উদ্যোগ যথেষ্ট নয়, জনগণের সক্রিয় সম্পৃক্ততা অপরিহার্য। উপদেষ্টা বলেন, দেশের সামগ্রিক ব্যবস্থার পরিবর্তন প্রয়োজন। সবাইকে পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত হতে হবে এবং পরিবর্তনের দিকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি জানান, শিল্প দূষণের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করা হবে এবং ঢাকার আশেপাশের নদী দূষণ রোধে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। পলিথিন বিরোধী প্রক্রিয়া এরইমধ্যে শুরু হয়েছে। ঢাকাকে বায়ুদূষণের কারণে সাভারকে ‘ডিগ্রেডেড এয়ারশেড’ ঘোষণা করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন- রাজউকের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন- ভিত্তি স্থপতিরা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্থপতি ইকবাল হাবিব। ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি তাসকিন আহমেদ এফজিডির সভাপতিত্ব এবং সঞ্চালনা করেন। অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন- ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম, পরিবেশ অধিদপ্তরের (ডিওই) পরিচালক মো. জিয়াউল হক, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের স্থাপত্য অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান স্থপতি কাজী গোলাম নাসির, রাজউকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম ও বুয়েট সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ অধ্যাপক ড. মো. শামসুল হক প্রমুখ।
আলোচনায় বক্তারা ঢাকার বিকেন্দ্রীকরণ, পরিবেশ সুরক্ষা ও টেকসই নগর উন্নয়ন নিয়ে মতামত প্রদান করেন। তারা মনে করেন, নগরের স্থায়ী কল্যাণ নিশ্চিত করতে সমন্বিত পরিকল্পনা ও শক্তিশালী নীতিমালা বাস্তবায়ন জরুরি।
