টাইফয়েডরোধে ১০ লাখ শিশুকে টিকা দেবে ডিএসসিসি
প্রকাশ : ২৯ আগস্ট ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
টাইফয়েডরোধে আগামী ১২ অক্টোবর থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় প্রায় ১০ লাখ শিশুকে বিনামূল্যে টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন (টিসিভি) দেওয়া হবে। ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সি শিশুদের এই টিকাদান কার্যক্রম চলবে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত, যা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, স্থায়ী কেন্দ্র ও অস্থায়ী কেন্দ্রের মাধ্যমে দুই ধাপে সম্পন্ন হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার নগরভবন অডিটোরিয়ামে সিটি কর্পোরেশন পর্যায়ে এক অ্যাডভোকেসি সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম। সভায় জানানো হয়, দেশব্যাপী ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী সব শিশুকে এক ডোজ টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন (টিসিভি) প্রদানের অংশ হিসেবে ডিএসসিসি এলাকায় প্রায় ১০ লাখ শিশুকে বিনামূল্যে টিকা দেওয়া হবে। ক্যাম্পেইন চলবে ১২ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত।
হাজার ২৫২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ৭৫টি স্থায়ী কেন্দ্র এবং প্রায় ৪৫০টি অস্থায়ী কেন্দ্রের মাধ্যমে এই কার্যক্রম পরিচালিত হবে। প্রথম পর্যায়ে (১২-৩১ অক্টোবর) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের টিকাদান করা হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে (১-১৩ নভেম্বর) অস্থায়ী কেন্দ্রে কমিউনিটির শিশু ও প্রান্তিক এলাকার শিশুদের টিকা দেওয়া হবে। এছাড়া ক্যাম্পেইন চলাকালে শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন ছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ড কার্যালয়ের স্থায়ী কেন্দ্রে টিকা নেওয়া যাবে।
টিকা গ্রহণের জন্য শিশুর অনলাইনে বিদ্যমান ১৭-সংখ্যার জন্ম নিবন্ধন নম্বর দিয়ে িি.াধীবঢ়র.মড়া.নফ ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করে টিকা কার্ড ডাউনলোড করতে হবে। যাদের জন্ম নিবন্ধন নেই, তারা ওয়ার্ড কার্যালয়ে গিয়ে অনলাইন নিবন্ধন সম্পন্ন করতে পারবেন। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, টাইফয়েড টিকা সম্পূর্ণ নিরাপদ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক পরীক্ষিত।
আমরা চাই, এই টিকাদান কর্মসূচিকে সবার সহযোগিতায় একটি উৎসবে পরিণত করতে। টিকা গ্রহণে জন্ম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক হওয়ায় ডিএসসিসির আঞ্চলিক কার্যালয়গুলোতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জন্ম নিবন্ধন সেবা দেওয়া হবে। অ্যাডভোকেসি সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, সমাজসেবা অধিদপ্তর, রেড ক্রিসেন্ট, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় ডিএসসিসির সচিব মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. মাহাবুবুর রহমান তালুকদার, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ডা. নিশাত পারভীন ও আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা অংশ নেন।
