না.গঞ্জে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে যাত্রীবাহী বাসে দুর্ধর্ষ ডাকাতি

প্রকাশ : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে যাত্রীবাহী একটি বাসে দুর্ধর্ষ ডাকাতি হয়েছে। বাসটির অন্তত ১৫ জন যাত্রীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের কাছ থেকে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন লুট করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে সদর উপজেলার ফতুল্লা থানাধীন মাহমুদপুর এলাকায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে এ ঘটনা ঘটে। বাসটি গত রাতে কুষ্টিয়া থেকে যাত্রী নিয়ে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে এসেছিল। এদিকে এ ঘটনায় পুলিশ বাসটির চালক আরিফুল ইসলাম (৫০), দুই হেলপার আবু সাইদ (৩৫) ও শাওনকে (১৫) কে আটক করেছে। যাত্রীরা জানান, গত বুধবার রাতে কুষ্টিয়া থেকে জিএস পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা মেট্রো-ব ১৫-৬৮৯৫) যাত্রী নিয়ে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে।

গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে পাঁচটায় বাসটি ফতুল্লার সাইনবোর্ড এলাকায় পৌঁছায়। এসময় চালক যাত্রী নামানোর জন্য বাসটি সাইনবোর্ড মোড়ে না থামিয়ে কিছুটা দূরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের মাহমুদপুর এলাকায় জেলা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সামনে নিয়ে থামান। সেখানে কয়েকজন যাত্রী নামার সময় একদল যুবক নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে গাড়িতে উঠে বলেন, যাত্রীদের কাছে মাদক আছে তাই বাসে তল্লাশি করা হবে। তখন চালক ধীরে ধীরে গাড়ি চালাচ্ছেন। যাত্রীরা আরও জানান, এ সময় ডিবি পুলিশ পরিচয় দেওয়া যুবকরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে যাত্রী আফরোজা আক্তার ও তার বোন মুন্নি আক্তারের পরিহিত স্বর্ণের বালা, গলার চেইন, কানের ঝুমকাসহ সঙ্গে থাকা নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। একই সময় যাত্রী রুবেল হোসেনসহ অন্তত ১৫ জন যাত্রীর কাছ থেকে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন লুটে নেয় অস্ত্রধারীরা। এরপর ডাকাত দল জালকুঁড়ি এলাকায় নেমে গেলে চালক গাড়ি ছেড়ে দেয়।

ডাকাত দল যাওয়ার পর যাত্রীরা চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে থানায় খবর দেয়। যাত্রীদের অভিযোগ, বাসটির চালক ও হেলপারের আচরণ সন্দেহজনক মনে হয়েছে। ডাকাত দলের সঙ্গে তারা জড়িত থাকতে পারে বলে অনেকে সন্দেহ করছেন। ফলে বিষয়টি থানা পুলিশকে অবগত করা হয়েছে। এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, এটি ছিনতাই নাকি ডাকাতি এ মুহূর্তে নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। তদন্তের পর নিশ্চিত করে বলতে পারব। তবে যাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে বাসটির চালক ও দুই হেলপারকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

তদন্ত করে ঘটনার বিষয়ে যদি চালক ও হেলপারদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় তাহলে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে মামলাসহ যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।