বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে বড় চ্যালেঞ্জ কারিগরি সীমাবদ্ধতা
প্রকাশ : ০১ অক্টোবর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কারিগরি সীমাবদ্ধতা, জনবল সংকট এবং রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী তাসলিমা ইসলাম। গতকাল মঙ্গলবার পর্যটন ভবনের শৈলপ্রপাত মিলনায়তনে বায়ুদূষণের ফলে সৃষ্ট জনদুর্ভোগের চিত্র এবং সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নির্ধারণে ‘বায়ু দূষণ প্রতিরোধে করণীয়’ বিষয়ে গণশুনানি আয়োজন করে বেলা। শুনানিতে এসব এসব কথা বলেন তিনি। বেলার প্রধান নির্বাহী বলেন, ওভারল্যাপিং জুরিসডিকশনও বায়ুদূষণ রোধের পথে অন্তরায়। আমাদের প্রয়োজন সমন্বিত ও সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি (হলিস্টিক অ্যাপ্রোচ) থেকে কাজ করা। বায়ুদূষণের ফলে স্বাস্থ্য খাতে মানুষের ব্যয় ক্রমশ বাড়ছে। গণশুনানিতে ভুক্তভোগী নাগরিক, চিকিৎসক, শিক্ষাবিদ, পরিবেশবিদ, নগর পরিকল্পনাবিদ, পুলিশ, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক (ঢাকা অঞ্চল) মো. জিয়াউর রাহমান। শুনানিতে জানানো হয়, বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা দেশগুলোর মধ্যে ২০১৮ সাল থেকে বাংলাদেশের অবস্থান প্রথম। বায়ুদূষণের প্রধান উৎসগুলো হলো- যানবাহন থেকে নির্গত ধোঁয়া ২৮ ভাগ, কারখানা ১৩ ভাগ, ইটভাটা ১১ ভাগ, নির্মাণ প্রকল্পের ধুলাবালি ৮ ভাগ, আবর্জনা পোড়ানো, গৃহস্থালির ধোঁয়া ও অনিয়ন্ত্রিত জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার ইত্যাদি। তাসলিমা ইসলাম আরও জানান, পরিবেশের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমাদের ২০০টির বেশি আইন আছে। বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ অনুযায়ী দূষণ নিয়ন্ত্রণের কথা বলা হয়েছে। পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা ২০২৩ অনুযায়ী আন্তর্জাতিক মানদ- মেনে চলার নির্দেশনা রয়েছে, রয়েছে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণের আধুনিক বিধান। রয়েছে বায়ুদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০২২।
তাহলে প্রশ্ন আসে বায়ুদূষণে আমাদের এই করুণ অবস্থা কেন? শুনানিতে বলা হয়, বায়ুদূষণের স্বল্পমেয়াদি প্রভাবের মধ্যে রয়েছে কাশি, শ্বাসকষ্ট, শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহ, কনজাংটিভাইটিস, অ্যালার্জি, হাঁপানি, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ইস্কেমিক হার্ট ডিজিজ, হার্ট ফেইলর, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদস্পন্দনের তারতম্য।
