মহিষ দেশের সম্পদ, আর অবহেলা নয়
বললেন প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
প্রকাশ : ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, মহিষ বাংলাদেশের এক অনন্য সম্পদ; কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে তা অবহেলিত থেকেছে। এই অবহেলা যেন আর না হয়, সে বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে। গতকাল বুধবার সকালে সাভারের মহিষ প্রজনন ও উন্নয়ন খামারে বাংলাদেশ বাফেলো অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ‘বৈজ্ঞানিক সম্মেলন-২০২৫’ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, মহিষের দই এরমধ্যেই বাংলাদেশের একটি জিআই পণ্য হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। তিনি বলেন, মহিষের দুধ থেকে শুধু দই নয়, চিজসহ আরও নানা পণ্য তৈরি সম্ভব। প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি সহায়তা দিলে খামারিরা নতুন বাজারে প্রবেশ করতে পারবেন। এসব পণ্য রপ্তানিযোগ্য হিসেবেও অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। ফরিদা আখতার আরও বলেন, কৃষি ও প্রাণিসম্পদ মিলিয়েই আসলে খাদ্য উৎপাদন সম্পূর্ণ হয়। কিন্তু বাস্তবে অনেকেই কৃষিকেই একমাত্র খাদ্য উৎপাদন ধরে নেন। কৃষিতে কীটনাশক ও আগাছানাশকের অতিব্যবহারে গরু, ছাগল ও মহিষ পর্যাপ্ত ঘাস পাচ্ছে না। খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির নামে চারণভূমি হারিয়ে যাচ্ছে- এটা এক ভয়ংকর প্রবণতা।? এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ও সমন্বিত পরিকল্পনা নেওয়ার আহ্বান জানান উপদেষ্টা। তিনি আরও বলেন, প্রাণিসম্পদ খাতে মহিষের গুরুত্ব এখনও যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয়নি। দেশে মহিষের সংখ্যা ক্রমেই কমছে, চারণভূমির অভাব এবং অবহেলাই এর মূল কারণ। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বাফেলো অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রফেসর ড. মো. ওমর ফারুক। গেস্ট অব অনার ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. রুহুল আমিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নীলুফা আক্তার, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান এবং বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুক।
