ভূমিসেবায় এসিল্যান্ডদের কোনো ধরনের গাফিলতি গ্রহণযোগ্য নয়

প্রকাশ : ২০ অক্টোবর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, ভূমি প্রশাসন বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি খাত। বর্তমানে এসিল্যান্ডরা শুধু ভূমি প্রশাসনের কাজেই নয়, বরং প্রশাসনের নানাবিধ দায়িত্বেও যুক্ত। কিন্তু দায়িত্ব যতই বহুমাত্রিক হোক না কেন, ভূমিসেবায় কোনো ধরনের গাফিলতি গ্রহণযোগ্য নয়। গতকাল ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘অক্টোবর-২০২৫-এর কমিশনার সমন্বয় সভা’য় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ। ভূমি উপদেষ্টা বলেন, ভূমি সংক্রান্ত সমস্যায় সাধারণ মানুষকে সবচেয়ে বেশি হয়রানির শিকার হতে হয়, আর এই হয়রানি দূরীকরণই সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার কাজ বহুমাত্রিক হলেও তার মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত জনকল্যাণ। তিনি আরও বলেন, ভূমি অফিসগুলো আমরা যেমন দেখতে চাই, জনগণও তেমনই দেখতে চায় সেই প্রত্যাশা পূরণে ভূমি অফিসগুলোকে আধুনিক ও জনবান্ধব করতে হবে। ভূমিসেবাকে সহজ ও প্রযুক্তিনির্ভর করতে সরকার এরইমধ্যে একাধিক উদ্ভাবনী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এসব কার্যক্রম বাস্তবায়নের মূল চালিকাশক্তি এসিল্যান্ডরা এবং তাদের পথপ্রদর্শক কমিশনাররা। তিনি বলেন- তাই তাদের দায়িত্ব শুধু প্রশাসনিক নয়, এটি এক ধরনের জনসেবামূলক অঙ্গীকার। সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে অনলাইনে ভূমিসেবা প্রদানে সফলতার জন্য আটজন কর্মকর্তাকে ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে সম্মাননা প্রদান করা হবে বলে জানান উপদেষ্টা। সভায় জানানো হয়, সারা দেশে একযোগে আগামী ৩০ অক্টোবর নামজারির ভার্সন ২.১ সফটওয়্যার চালু করা হবে এবং ভূমি উন্নয়ন করের একটি অ্যাপও চালু করা হবে। সঠিকভাবে অনলাইনে ভূমিসেবা কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে এ পর্যন্ত ছয় হাজার জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সারাদেশের ৬১টি জেলায় ৮১৫টি ভূমিসেবা সহায়তা কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। সমন্বয় সভায় বিভাগীয় কমিশনারসহ আরও উপস্থিত ছিলেন- ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান এজেএম সালাউদ্দিন নাগরী, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।