‘বৃহত্তর সিলেটবাসী’ ব্যানারে ঢাকায় ট্রেন আটকে বিক্ষোভ

প্রকাশ : ০২ নভেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

অনুমোদিত ‘টাঙ্গুয়ার এক্সপ্রেস ট্রেন’ চালুসহ আট দফা দাবিতে রাজধানীর মগবাজার রেলগেট এলাকায় রেলপথ অবরোধ করেছে ঢাকার বৃহত্তর সিলেটবাসী। গতকাল শনিবার এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন তারা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ‘অগ্নীবীণা এক্সপ্রেস ট্রেন’ আন্দোলনকারীরা প্রায় ১০ মিনিট আটকে রাখে।

পরে রেল মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দাবি বিবেচনার আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা অবরোধ ছেড়ে দেন। আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে সেলিম আহমেদ বলেন, ‘আমরা গতকাল শনিবার দুপুর ১টায় কর্মসূচি শেষ করেছি।

মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, দাবিগুলো দ্রুত বিবেচনা করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল সিলেট বিভাগজুড়ে রেলপথ অবরোধের কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা ঢাকায় প্রতীকীভাবে ট্রেন আটকে রেখেছিলাম। তবে দাবিগুলো যদি দ্রুত বাস্তবায়ন না হয়, তাহলে আগামী ১৮ নভেম্বর রেল মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করা হবে।’

আন্দোলনকারীদের আটদফা দাবি হলো- ঢাকা-সিলেট রেলপথে অনুমোদিত টাঙ্গুয়ার এক্সপ্রেস দ্রুত চালু করা ও সিলেট-ঢাকা রুটে দুটি এবং সিলেট-কক্সবাজার রুটে একটি স্পেশাল ট্রেন চালু করা; আখাউড়া-সিলেট রেলপথ সংস্কার ও ডাবল লাইন করা; এই সেকশনে অন্তত দুটি লোকাল ট্রেন চালু করা; এই সেকশনের বন্ধ সব স্টেশন পুনরায় চালু করা; সিলেটের সব স্টেশনে বরাদ্দ করা আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করা; সিলেট-ঢাকাগামী কালনী ও পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনের আযমপুরের পর ঢাকামুখী সব স্টেশনে যাত্রাবিরতি প্রত্যাহার করা; ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় রোধে ত্রুটিমুক্ত ইঞ্জিন ব্যবহার এবং যাত্রী অনুপাতে প্রতিটি ট্রেনে অতিরিক্ত বগি সংযোজন করা।

অবরোধ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি আকবর হোসেন মঞ্জু, হবিগঞ্জ সমিতি ঢাকার সভাপতি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান তরফদার, পল্টন থানা জামায়াতের শাহিন আহমেদ খান, সিলেট বিভাগ সাংবাদিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম আহমেদ, জগন্নাথপুর সমিতির যুগ্ম সম্পাদক সায়েদুজ্জামান কামালী, সংগঠক আবু বকর সিদ্দিক, সুজন মিয়া, সাংবাদিক এমদাদুল হক ও জামিল আহমদ এবং ছাত্রনেতা তোফায়েল আহমেদ।