ঢাকা বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি

অধ্যাদেশ জারির আল্টিমেটাম দিয়ে স্থগিত আন্দোলন

* আগামী ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলমান এক দফার কর্মসূচি স্থগিত থাকবে
অধ্যাদেশ জারির আল্টিমেটাম দিয়ে স্থগিত আন্দোলন

রাজধানীর সাত কলেজ নিয়ে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি গঠনের অধ্যাদেশ দ্রুত জারির দাবিতে যে আন্দোলন চলছিল, আপাতত তা স্থগিত ঘোষণা করেছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে ঢাকা কলেজের মূল ফটকের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে তারা এ ঘোষণা দেন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি এবং ঢাকা কলেজের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী মো. রবিন হোসেন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আলোচনার পরিপ্রক্ষিতে সিদ্ধান্ত হয় যে, আগামী ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলমান এক দফার কর্মসূচি স্থগিত থাকবে।’

‘এ বিষয়ে সাত কলেজের সিনিয়র শিক্ষার্থীরাও আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা আগামী ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করব। এই সময়ের মধ্যে পরবর্তীতে যে কোনো পরিস্থিতির আলোকে আমাদের পরবর্তী করণীয় ঠিক করে জানাব।’ ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহিদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ এবং সরকারি তিতুমীর কলেজকে নিয়ে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি গঠনের কার্যক্রম যখন চলছে, তখন এর আশু কাঠামো নিয়ে কলেজগুলোর শিক্ষকরা ও শিক্ষার্থীদের কয়েকটি অংশ মুখোমুখী অবস্থান নিয়েছেন। গত ২৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। খসড়ায় সাতটি কলেজকে চারটি স্কুলে বিভক্ত করে ‘ইন্টারডিসিপ্লিনারি’ বা ‘স্কুলিং’ কাঠামোতে বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাব অনুযায়ী কলেজগুলো উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠদানও চালু থাকবে।

‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’র প্রস্তাবিত কাঠামোতে সাতটি কলেজসহ সারা দেশের সরকারি কলেজগুলোতে শিক্ষক হিসাবে কর্মরত বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা পদোন্নতির মত মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ণ হওয়ার শঙ্কায় আছেন। তারা কলেজগুলোর ‘স্বাতন্ত্র’ বজায় রেখে ‘অধিভুক্তিমূলক কাঠামোতে’ নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন। আর কলেজগুলোর বর্তমান শিক্ষার্থীদের একাংশ নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনি কাঠামো দ্রুত নিশ্চিত করার পক্ষে অবস্থান নিয়ে দ্রুততম সময়ে অধ্যাদেশ জারির দাবি জানিয়ে আসছিলেন। তারা গত রবি ও সোমবার শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। তারাই আপাতত ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত কর্মসূচি স্থগিত রাখার ঘোষণা দিলেন। অন্যদিকে উচ্চ মাধ্যমিক ও অনার্স-মাস্টার্স পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের একাংশ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের মতোই প্রস্তাবিত কাঠামোর বিরোধিতা করে বলছেন, স্কুলিং কাঠামোতে কলেজগুলোর ‘স্বাতন্ত্র’ বজায় থাকবে না।

এমন বাস্তবতায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় গত সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সব মহলের সঙ্গে আলোচনা করে অধ্যাদেশের খসড়া পরিমার্জন ও চূড়ান্ত করার কাজ চলছে, ২৫ ডিসেম্বর খসড়া অধ্যাদেশ নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হবে।

আর প্রথম ব্যাচের ২০২৪-২৫ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ক্লাস আগামী ১ জানুয়ারি থেকে শুরু করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির কথা তুলে ধরে রবিন হোসেন বলেন, ‘আমরা বরাবরই শিক্ষা মন্ত্রণালয়, সরকার তথা রাষ্ট্রের প্রতি অনুগত। বিগত সময়ের মতো এবারও আমরা বিশ্বাস রাখতে চাই, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমাদের যে সময়সীমা জানানো হয়েছে, সে সময়ের মধ্যে অধ্যাদেশ এবং নবীনদের পাঠদান শুরু হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত