চবির সহ-উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা

প্রকাশ : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  চট্টগ্রাম ব্যুরো

‘পাকিস্তানি বাহিনী বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করবে, এটা রীতিমতো অবান্তর’ বলা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খানের পদত্যাগের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়েছেন শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা দেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। ছাত্রদলের এই কর্মসূচিতে সংহতি জানায়- গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, অতীশ দীপংকর হল সংসদের ভিপি, ছাত্র ফেডারেশন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্র ইউনিয়ন ও নারী অঙ্গনের কয়েকজন নেতা।

চবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় চলে সাধারণ জনগণের ট্যাক্সের টাকায়, জামায়াতের টাকায় নয়। গত রোববার বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় সহ-উপাচার্য শামীম উদ্দিন খান স্যার পাকিস্তানিদের ‘যাদ্ধা’ বলেছেন। অথচ এই পাকিস্তানি বাহিনী এ দেশের জনগণকে হত্যা করেছে। আমাদের মা-বোনদের ইজ্জত নষ্ট করেছে। তার ওই বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে। পদত্যাগ ছাড়া আমরা তালা খুলব না।’

এর আগে গত রোববার শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দপ্তরে ‘মুক্তচিন্তা, মুক্তিযুদ্ধ এবং একাত্তরের বুদ্ধিজীবী হত্যা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সহ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান। এ সময় তিনি ‘পাকিস্তানি বাহিনী বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করবে, এটি অবান্তর’ বলে মন্তব্য করেন। আলোচনা সভায় অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের দিন নির্ধারিত ছিল। পাকিস্তানি বাহিনী দেশ থেকে পালানোর জন্য চেষ্টা করছিল, সে সময় তারা জীবিত থাকবে না মৃত থাকবে, সে বিষয়ে কোনো ফয়সালা হয়নি, সে সময় পাকিস্তানি যোদ্ধারা বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করবে, এটি আমি মনে করি রীতিমতো অবান্তর।’

এ সময় তিনি ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর কী হয়েছিল, তা জানতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে স্বাধীন নিরপেক্ষ কমিশন গঠন করার অনুরোধ করেন।