সন্ধ্যার পরও শরীরচর্চা করতে পারেন। কিন্তু এ সময় ব্যায়াম করলে অনেকেরই ঘুমের সমস্যা হয়। বিশেষ করে ভারী ব্যায়ামের ক্ষেত্রে। তবে বৈজ্ঞানিকদের মতে, আপনি যদি ব্যায়াম করার পরেই স্নান করে, খেয়েদেয়ে শুয়ে না পড়েন, তা হলে বিপদের আশঙ্কা কম।
আবার অনেকেই ভাবেন সকালে ঘুম থেকে উঠেই ব্যায়ামটা সেরে ফেলতে পারলে সারা দিন আর ভাবনা থাকে না। সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্যায়াম করতে অনেকেরই আবার আলস্য লাগে। সে ক্ষেত্রে দুপুরে-বিকালে-রাতে ব্যায়াম করলে, মাঝেমধ্যেই ছেদ পড়ে যেতে পারে।
গবেষকরা বলেছেন, রাতে ভারী ব্যায়াম এড়ানো উচিত। কারণ এটি ঘুমের ধরনকে প্রভাবিত করবে।
তা হলে কখন শরীরচর্চা করবেন?
সকালটা শরীরর্চার জন্য সর্বোত্তম সময় বলে মনে করা হয়, বিশেষ করে যখন সকালে খালি পেটে ব্যায়াম করা হয়। দীর্ঘ সময় ঘুমের পর সকালটায় সবাই তরতাজা থাকেন, তাই অনেকক্ষণ শরীরচর্চা করলেও ক্লান্তি আসে না। কাজ করার ইচ্ছা বাড়ে। সে বাড়ির কাজ হোক বা রোজকার অফিসের দায়িত্বÑ সবটাই অনেক ভালোভাবে করা যায়। সকালের দিকে ব্যায়াম করার আরও একটি সুফল হলো এতে খিদে বাড়ে। হজমও ভালো হয়।
কর্মব্যস্ত জীবনে অনেকেই সন্ধ্যার পর ব্যায়াম করেন। তবে গবেষকরা বলেছেন, রাতে ভারী ব্যায়াম এড়ানো উচিত। কারণ এটি ঘুমের ধরনকে প্রভাবিত করবে। জার্নাল অব ফিজিওলজফিতে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা বলছে, সন্ধ্যা ৭টার পর ব্যায়াম করলে ঘুমাতে দেরি হয়। বিশেষজ্ঞরা রাতের বেলায় যোগাভ্যাসের মতো মানসিক চাপ উপশমকারী শরীরচর্চার পরামর্শ দেন।
দুপুরবেলা বা বেশি গরমে ব্যায়াম করলে সহজেই ক্লান্তি আসে। তাই এ সময়ে ব্যায়াম না করাই ভালো। অনেকে ব্যস্ততার জন্য সারা দিন সময় করে উঠতে পারেন না, তারা রাতে ব্যায়াম করেন।
এতে কোনো সমস্যা নেই। যাদের ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে বা চিকিৎসা-সংক্রান্ত জটিলতার কারণে সকালে ঘুম থেকে উঠতে অসুবিধা হয়, তারা দুপুরের দিকে হালকা ব্যায়াম বা যোগাভ্যাস করতে পারেন।
তবে মনে রাখবেন, শুধু ব্যায়াম আপনাকে আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করবে না। পুষ্টিকর খাদ্য সঠিক সময় খাওয়াটাও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।