
ছোলা খুবই পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি খাবার। ছোলাকে সেকেন্ড ক্লাস প্রোটিন বলা হয়। পুষ্টিবিদরা বলেন, ১০০ গ্রাম ছোলায় রয়েছে ৩৭২ কিলোক্যালোরি, ৬০ গ্রাম প্রোটিন ও ৫.৬ গ্রাম ফ্যাট।
এছাড়া ছোলা ফাইবারে ভরপুর। সেই সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের মিনারেল, যেমন আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, জিঙ্ক আমরা ছোলা থেকে পাচ্ছি।
যাদের রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা অনেক বেশি, আমরা তাদের ছোলা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকি। কারণ, ছোলায় ফ্যাট নেই বললেই চলে। যতটুকু পরিমাণ ফ্যাট রয়েছে, সেটা আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী।
সে ক্ষেত্রে যাদের রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি বা যাদের হার্ট ডিজিজ রয়েছে, তারা চাইলে খুব সহজে ছোলা খেতে পারেন। যারা ওজন কমাতে চাচ্ছেন, তাদের ক্ষেত্রে ছোলা ডায়েট চার্টে অন্তর্ভুক্ত করা দরকার। তারা যদি ছোলার সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের সালাদ, যেমন টমেটো, শসা, কাঁচামরিচ, পেঁয়াজ, ধনিয়া পাতা মিশিয়ে খেয়ে থাকেন, সে ক্ষেত্রে তাদের ওজন বাড়ার সম্ভাবনা নেই। বরং ওজন অনেকাংশে কমে যেতে পারে।
ছোলায় রয়েছে ভিটামিন সি ও পটাসিয়াম, যা আমাদের রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেক বেশি সাহায্য করে। এ ছাড়া এর ভিটামিন সি ও পটাসিয়াম আমাদের ব্লাডপ্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেক বেশি সাহায্য করে থাকে। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য রয়েছে, তারা যদি খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন কিছু পরিমাণ সিদ্ধ ছোলা রাখেন, সে ক্ষেত্রে তাদের এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। প্রতিদিন সকালে যদি ভিজিয়ে রাখা কাঁচা ছোলা খাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে যাদের ওজন তুলনামূলক কম বা যাদের মাসল বিল্ডআপ হয় না, তারা যদি ভিজিয়ে রাখা ছোলা খেয়ে থাকেন, তাহলে ছোলা মাসল বিল্ডআপে অনেক বেশি সাহায্য করবে।
ছোলার পুষ্টিগুণ অনেক বেশি ও ছোলাকে বলা হয় সেকেন্ড ক্লাস প্রোটিনের উৎস। কিন্তু একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, ছোলা কীভাবে খাচ্ছেন ও ছোলা কীভাবে রান্না হচ্ছে।
ছোলা যদি অনেক বেশি তেল-মসলা দিয়ে রান্না করা হয়, বেশি পরিমাণে ভুনা করে রান্না করা হয়, সে ক্ষেত্রে এর ফ্যাটের পরিমাণ বেড়ে যায়। ছোলা কম তেল-মসলা দিয়ে ভালোভাবে সিদ্ধ করে রান্না করে এর সঙ্গে সবুজ সালাদ মিক্স করে থেকে হবে। তবে এটি স্বাস্থ্যসম্মত হবে।