ঢাকা সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

মসলার দাম বেড়েছে

মসলার দাম বেড়েছে

এলাচ, দারুচিনি, জিরা এবং আদাসহ মসলাজাতীয় পণ্যের দাম কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে রমজানের শুরুতেই। এখনো সেই দামই বজায় আছে। এর সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হয়েছে পেঁয়াজ ও রসুন। ফলে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে ঈদসামগ্রী কেনার পর মসলা কিনতে বিপাকে পড়েছেন মধ্য ও নিম্নআয়ের ক্রেতারা। তারা বলছেন, নিত্যপণ্যের মতো মসলাও অপরিহার্য পণ্য। কারণ রান্না করলে অবশ্যই মসলার ব্যবহার করতে হয়। রমজান মাসজুড়ে এসব পণ্যের দাম বেশি ছিল। এখন ঈদের এক সপ্তাহ বাকি থাকলেও দাম আর কমছে না। বাড়তি দামেই আমাদের পণ্য কিনতে হচ্ছে।

কারওয়ানবাজারে আসা ক্রেতা হামিদ সরকার বলেন, রোজার মধ্যে পেঁয়াজের দাম কম ছিল, এখন ঈদ সামনে রেখে আবারও পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের দাম বেড়েছে। কোনো কারণ ছাড়াই ব্যবসায়ীরা হুট করে এসব পণ্যের দাম বাড়িয়েছেন, অথচ সরকারের পক্ষ থেকে কেন এসব পণ্যের দাম বাড়ানো হলো তার তদারকি করা হলো না। গতকাল সোমবার কারওয়ানবাজার, রামপুরা এবং বাড্ডাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারগুলোতে প্রকারভেদে জিরা বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজিতে। আর মহল্লার দোকানগুলোতে ১০০ গ্রাম বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। মাঝারি দারুচিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৪৫০ থেকে ১ হাজার ৫৫০ টাকায়। ভালোমানের এলাচ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৯০০ থেকে ৩ হাজার টাকা কেজিতে, যা এক মাস আগে ছিল ১ হাজার ৭০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা। নিম্নমানের এলাচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকার নিচে।

একইভাবে ৬০ থেকে ৭০ টাকার দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। আমদানি করা আদা বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজিতে, যা ছিল ৯০ থেকে ১২০ টাকা। শুকনা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৪২০ টাকা কেজিতে। রমজানের শুরুতে ছিল ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি।

সরকারি বাজার মনিটরিং প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ টিসিবির তথ্য মতে, রাজধানীতে এক মাস আগে জিরা কেজি বিক্রি হয়েছে ৩৫০ থেকে ৪২০ টাকা। আজ বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা কেজিতে। টিসিবির বাজার দর অনুযায়ী, পেঁয়াজ বিক্রি হয় ২৫ থেকে ৩৫ টাকা কেজিতে, যা এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজিতে। দেশি হলুদ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজিতে। আমদানি হলুদ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা কেজিতে। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে, আর আমদানি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৩০ টাকায়। মসলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এনায়েত উল্লাহ বলেন, ঈদকে সামনে রেখে তারা মসলার দাম বাড়াননি, যা বাড়ার বেড়েছে আগে। চাল-ডাল, গ্যাস-বিদ্যুৎ-তেলের দাম যেভাবে বেড়েছে, সেই তুলনায় মসলার বাজার সস্তা। এতে সাধারণ মানুষের পকেটে খুব বেশি প্রভাব পড়ে না বলে উল্লেখ করেন তিনি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত