দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টন সার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ৬০ হাজার টন ইউরিয়া, ৩০ হাজার টন টিএসপি এবং ৪০ হাজার টন ডিএপি সার কিনতে সরকারের ব্যয় হবে ৬৭৩ কোটি ৭৩ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এই সার কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সারের যাতে সংকট না হয় সে বিষয়টি আমরা দেখছি। আজকের বৈঠকে সার আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। দেশে সারের কোনো সংকট হবে না।’ এদিন বৈঠকে ক্রয় কমিটি কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কিনতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে সায় দিয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ১২০ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।
প্রতি মেট্রিক টন সারের মূল্য ধরা হয়েছে ৩৩৫ দশমিক ৫০ ডলার। সৌদি আরবের সাবিক এগ্রো-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কিনতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আরেকটি প্রস্তাবও অনুমোদন কমিটি। এই সার কেনায় ব্যয় হবে ১২৪ কোটি ৬৭ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। প্রতি মেট্রিক টন সারের মূল্য ধরা হয়েছে ৩৪৬.৩৩ ডলার। সভায় সার কেনার বাকি দুটি প্রস্তাব ছিল কৃষি মন্ত্রণালয়ের।
এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় পর্যায় মরক্কোর ওসিপি এসএ এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে সই হওয়া চুক্তির আওতায় ৩০ হাজার টন টিএসপি সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ১৪৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
প্রতি মেট্রিক টন সারের মূল্য ধরা হয়েছে ৪১৫ ডলার। কৃষি মন্ত্রণালয়ের আর এক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সৌদি আরবের মা’আদেন ও বিএডিসি’র মধ্যে সই হওয়া চুক্তির আওতায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানির প্রস্তাবও অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় সংক্রান্ত কমিটি। এই সার আমদানিতে খরচ হবে ২৭৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম ধরা হয়েছে ৫৮১ ডলার।