রাউজানে ৫ হাজার গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হবে
প্রকাশ : ২৭ জুলাই ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
কামরুল ইসলাম বাবু, রাউজান (চট্টগ্রাম)

চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৬ষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ৫ হাজার শিক্ষার্থীকে শিক্ষা বৃত্তির প্রদান করবে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আলহাজ জসিম উদ্দিন ফাউন্ডেশন। এ উপলক্ষে রাউজানে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের কাছে জসিম উদ্দিন শিক্ষা বৃত্তি প্রকল্পের ৫ হাজার ফরম বিতরণ ও মতবিনিময় সভা করেছে ফাউন্ডেশনের নেতারা। গত বুধবার ২৩ জুলাই রাউজান উপজেলা প্রশাসন মিলনায়তনে এ মতবিনিময় সভা এবং ফরম বিতরণ হয়। মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, আগামী ৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের সামমাহালদার পাড়ার কৃতি সন্তান জসিম উদ্দিনের গ্রামের বাড়ির একটি মাঠে বৃত্তি প্রাপ্ত সব শিক্ষার্থী, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান ও অন্যান্য শিক্ষককদের নিয়ে একটি সুধি সমাবেশ আয়োজন করা হবে। এই সমাবেশে শিক্ষার্থীদের আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেওয়া হবে সারা বছরের শিক্ষা বৃত্তি সহায়তা। প্রথম ধাপে প্রায় ৬ষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ৫ হাজার শিক্ষার্থীকে এ বৃত্তির আওতায় আনা হয়েছে। ২য় দাপে মাদ্রাসার হেফজখানা শিক্ষার্থীরও এর আওতায় আনা হবে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়ের একাডেমিক সুপার ভাইজার সজল চন্দ্র চন্দের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আলমাস ইউনুস ফাউন্ডেশন ও আলহাজ জসিম উদ্দিন ফাউন্ডেশনের পরিচালক ব্যবসায়ী আলহাজ মোখতার আহমদ। প্রধান আলোচক ছিলেন ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা ও নোয়াপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ মাস্টার। সংগঠক মাওলানা ফরিদুল ইসলাম আনসারীর সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সাংবাদিক এসএম ইউসুফ উদ্দিন।
তিনি জানান, রাউজান উপজেলার সব মেধাবী আর্থিক অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার খরচ বহন করার উদ্যোগ নিয়েছে আমিরাতের বিশিস্ট ব্যবসায়ী আলহাজ মো. জসিম উদ্দিন। নিজের অর্থায়নে ফাউন্ডেশন গড়ে কোটি টাকা ব্যয়ে শিক্ষা বান্ধব এ প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে জসিম উদ্দিন শিক্ষা বৃত্তি প্রকল্প। এ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ৬৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১১টি কলেজ ও ৩৫ আলিয়া মাদ্রাসা, ২৭টি কওমী মাদ্রাসা, ৫০টি হেফজখানার দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের বেতন, পরীক্ষার ফিসহ যাবতীয় শিক্ষার খরচ বহন করবে এ ফাউন্ডেশন। এছাড়াও জসিম উদ্দিন বৃত্তি প্রকল্পের সুবিধাভোগী শিক্ষার্থীদের থেকে এইচএসএসি এবং আলিম পরীক্ষায় সমগ্র রাউজানে সর্বোচ্চ বেশি নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীকে উচ্চ শিক্ষার সহায়তার জন্য ৩ লাখ টাকা, ২য় সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীকে ২ লাখ টাকা এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীকে ১ লাখ এবং এসএসসিতে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীকে ২ লাখ টাকা, ২য় সর্বোচ্চ নম্বর পওয়া শিক্ষার্থীকে দেড় লাখ টাকা এবং সর্বোচ্চ তৃতীয় নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীকে ১ লাখ টাকার এক কালিন বৃত্তি প্রদান করা হবে। এ শিক্ষা বৃত্তি প্রকল্পের উদ্যোক্তা আমিরাতের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ জসিম উদ্দিন এই প্রতিবেদককে বলেন, শিক্ষার উন্নয়নের জন্য এবং খরচের অভাবে ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে তিনি উপজেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গরীব অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য এ প্রকল্প স্থায়ীভাবে চালিয়ে নিতে চান? শিক্ষক এবং শিক্ষানুরাগীরা এ কার্যক্রমে তাকে সহযোগীতা করলে তিনি এ প্রকল্প চালু রাখবেন। মতবিনিময় সভা শেষে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের হাতে বৃত্তির ফরম ও আনুসাঙ্গিক সরঞ্জাম তুলে দেওয়া হয় ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে।
