বিএফআইইউ প্রধানের আপত্তিকর ভিডিও তদন্তে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
প্রকাশ : ২০ আগস্ট ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান এএফএম শাহীনুল ইসলামের একাধিক আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টির তদন্তে নেমেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ ভিডিওগুলোর সত্যতা যাচাই করছে। ঘটনাটি এমন একসময় সামনে এলো, যখন বিতর্কিত এনা পরিবহনের মালিক খন্দকার এনায়েত উল্লাহর ফ্রিজ করা অ্যাকাউন্ট থেকে ১৯ কোটি টাকা উত্তোলনের সুযোগ দেওয়ার অভিযোগে শাহীনুল ইসলাম সমালোচনার মুখে রয়েছেন। গত নভেম্বরে বিএফআইইউ এনায়েত উল্লাহ ও তার পরিবারের ৫০টি অ্যাকাউন্টে ১২০ কোটি টাকা ফ্রিজ করেছিল। কিন্তু এপ্রিলে ব্যাংক আল-ফালাহ চারটি অ্যাকাউন্ট পুনরায় ফ্রিজ না করে তাকে ১৯ কোটি টাকা তুলতে দেয়। সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এই তথ্য পেয়েছে। দুদকের তদন্তে আরও উঠে এসেছে, সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ বিভিন্ন রুটের বাস থেকে দৈনিক ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করতেন। গত ২৭ মে দুদকের আবেদনে আদালত ১২০ কোটি টাকা ফ্রিজের নির্দেশ দিলেও, এখন জানা গেছে অ্যাকাউন্টগুলোতে মাত্র ১০১ কোটি টাকা রয়েছে। এ নিয়ে অনৈতিক সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ প্রসঙ্গে শাহীনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, এনা পরিবহনের আবেদনের ভিত্তিতে ব্যবসা চালানোর জন্য টাকা তুলতে দেওয়া হয়েছে এবং বিএফআইইউ আগেও অনেক প্রতিষ্ঠানকে এমন সুযোগ দিয়েছে। দুদক জানতে চাইলে ব্যাখ্যা দেওয়া হবে। ভাইরাল ভিডিওর বিষয়ে তিনি দাবি করেন, এগুলো ভুয়া এবং তাকে হেয় করার ষড়যন্ত্র। গত বৃহস্পতিবার থেকে ব্যক্তিগত হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জারে ভিডিও ছড়াতে শুরু করে এবং গত সোমবার থেকে তা সোস্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন মহলে সমালোচনা শুরু হয়।
জানা যায়, গত বছর ৮ আগস্ট আন্দোলনের মুখে বিএফআইইউর তৎকালীন প্রধান মো. মাসুদ বিশ্বাস পদত্যাগ করেন। দীর্ঘদিন পদ শূন্য থাকার পর জানুয়ারিতে শাহীনুল ইসলাম নিয়োগ পান। তবে গভর্নরের সার্চ কমিটি যেসব নাম প্রস্তাব করেছিল, তাতে তার নাম ছিল না। অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ নিয়োগ হওয়ায় শুরু থেকেই বিতর্ক তৈরি হয়।
