পাঁচ ব্যাংক একীভূত করার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কমিটি গঠন

প্রকাশ : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

পাঁচ শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকের একীভূত কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য আট সদস্যের একটি ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করেছে সরকার। গত সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের আদেশে এ কমিটি গঠন করা হয়।

অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে গত রোববার সচিবালয়ে এ বিষয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই ওয়ার্কিং কমিটি গঠিত হয় বলে সূত্রগুলো জানায়। একীভূত ব্যাংকের সম্ভাব্য নাম হতে পারে ‘ইউনাইটেড ইসলামী ব্যাংক’।

মিটির কার্যপরিধি হচ্ছে ব্যাংকগুলোর একীভূত কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা। ব্যাংকগুলো হচ্ছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. কবির আহাম্মদকে আহ্বায়ক করে এই কমিটি গঠিত হয়। এই কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ রাশেদুল আমিন ও উপসচিব ফরিদ আহমেদ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের দুই যুগ্ম সচিব শেখ ফরিদ ও মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংক রেজল্যুশন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ জহির হোসেন এবং একই বিভাগের দুই অতিরিক্ত পরিচালক কাজী আরিফ উজ জামান ও মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন।

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের মেয়াদে অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে সমস্যায় পড়া পাঁচটি ইসলামি ধারার ব্যাংক একীভূত করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এগুলোকে একীভূত করে একটি ইসলামি ধারার ব্যাংক গঠন করা হবে। ব্যাংকের মূলধন হবে ৩৫ হাজার ২০০ কোটি টাকা। জানা গেছে, একীভূত নতুন ব্যাংকের জন্য প্রাথমিকভাবে ২০ হাজার ২০০ কোটি টাকা মূলধন জোগান দেবে সরকার। বাকি টাকা ঋণ নেওয়া হবে।

এক্সিম ছাড়া পাঁচটি ব্যাংকের মধ্যে চারটিই ছিল আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ও সমালোচিত ব্যক্তি এস আলমের মালিকানায়। আর এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারও ছিলেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ।

বাংলাদেশ ব্যাংক গত সপ্তাহে একীভূত হতে যাওয়া পাঁচ ব্যাংককে নিয়ে শুনানি করেছে। এর মধ্যে বিনা বাক্যে একীভূত হতে সম্মত হয় তিনটি ব্যাংক। এগুলো হচ্ছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক। এক্সিম ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক আরও সময় চেয়েছে। ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান বলেন, ‘প্রথম দিন থেকেই বলে আসছি, একীভূত হওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। প্রস্তাবিত ব্যাংকটির মাধ্যমে সারা দেশে সাড়া ফেলে দেওয়া খুবই সম্ভব।’