বাড়ল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির তদন্ত কমিটির মেয়াদ
প্রকাশ : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনা পর্যালোচনার জন্য গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটিকে সুপারিশ দেওয়ার জন্য ফের সময় বাড়িয়েছে সরকার। এবার নতুন করে মেয়াদ বাড়িয়ে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে গত মঙ্গলবার রাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এর আগে, চলতি বছরের ১১ মার্চ আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের নেতৃত্বে ছয় সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে সরকার। কমিটিকে প্রথমে তিন মাসের মধ্যে চূড়ান্ত সুপারিশ দিতে বলা হয়েছিল। পরবর্তীতে এক দফা মেয়াদ বাড়ান হয়, যার বর্তমান মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর। কমিটির সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালক আলী আশফাক এবং রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. নজরুল হুদা। কমিটিকে ২০১৬ সালে সংঘটিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনার তদন্ত অগ্রগতি, এ বিষয়ে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ বিশ্লেষণ, দায়-দায়িত্ব নির্ধারণ এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে করণীয় বিষয়ে সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে হওয়া রিজার্ভ চুরির ঘটনার তদন্ত কাজের অগ্রগতি এবং এ সংক্রান্ত সরকারি অন্যান্য পদক্ষেপের পর্যালোচনা, এ ঘটনার দায়-দায়িত্ব নির্ধারণ এবং এর পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে কমিটিকে। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জালিয়াতি করে সুইফট কোডের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। এ ঘটনায় নিউইয়র্কের আদালতের পাশাপাশি ঢাকার একটি আদালতেও মামলা চলমান রয়েছে। ওই মামলায় গত ২১ সেপ্টেম্বর ফিলিপিন্সের রিজল কমার্শিয়াল ব্যাংকের (আরসিবিসি) ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে ঢাকার আদালত। নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব থেকে স্থানান্তরিত অর্থ পাঠানো হয়েছিল ফিলিপিন্সে তিনটি ক্যাসিনোতে। এর মধ্যে একটি ক্যাসিনোর মালিকের কাছ থেকে দেড় কোটি ডলার উদ্ধার করে ফিলিপিন্স সরকার বাংলাদেশ সরকারকে বুঝিয়ে দিলেও বাকি ৬ কোটি ৬৪ লাখ ডলার আর পাওয়া যায়নি। ওই বছরের ১৫ মার্চ রাজধানীর মতিঝিল থানায় মামলা করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং বিভাগের যুগ্ম পরিচালক জুবায়ের বিন হুদা; অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনের ওই মামলায় সরাসরি কাউকে আসামি করা হয়নি। মামলাটি তদন্ত করছে সিআইডি। কিন্তু দফায় দফায় সময় নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে পারেনি সংস্থাটি।
