স্বর্ণের দাম রেকর্ড উচ্চতায়
প্রকাশ : ০২ অক্টোবর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
স্বর্ণের দাম ফের নতুন রেকর্ড উচ্চতায় ওঠে আসে গতকাল
বুধবার। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অচলাবস্থা ও নিরাপদ বিনিয়োগের চাহিদা দাম বৃদ্ধির পেছনে বড় কারণ। পাশাপাশি এ মাসেই ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার কমাবে এমন প্রত্যাশাও স্বর্ণের আকর্ষণ বাড়িয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। স্পট মার্কেট তথা তাৎক্ষণিক বাজারে স্বর্ণের দাম ০.৯ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্সে ৩ হাজার ৮৯১ দশমিক ৯৬ ডলার হয়েছে।
আবার আগামী ডিসেম্বরে সরবরাহ করা হবে এমন স্বর্ণের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের ফিউচার স্বর্ণের দাম ১.২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৯১৮ দশমিক ৬০ ডলারে। স্বর্ণের দাম বাড়লেও ডলারের সূচক ০.২ শতাংশ কমেছে, যা এক সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন। ফলে ডলারের দামে নির্ধারিত স্বর্ণ বিদেশি ক্রেতাদের জন্য আরও সস্তা হয়েছে।
ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠান অ্যাকটিভট্রেডসের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক রিকার্ডো ইভানজেলিস্তা বলেন, ‘ডলার দুর্বল হচ্ছে ফেডের নরম অবস্থানের প্রত্যাশার কারণে।
কংগ্রেসে ব্যর্থ হয়ে ব্যয় বিল পাস না হওয়ায় সরকারের অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। এতে অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।’ মার্কিন সরকার বেশিরভাগ কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে। এতে হাজারো সরকারি চাকরি ঝুঁকির মুখে পড়েছে। কংগ্রেস ও হোয়াইট হাউসের মধ্যে তীব্র দ্বন্দ্বের কারণে তহবিল বরাদ্দে সমঝোতা হয়নি। এই অচলাবস্থার কারণে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক তথ্য প্রকাশে দেরি হতে পারে।
গত শুক্রবার প্রকাশ হওয়ার কথা ছিল নন-ফার্ম পেরোলস (এনএফপি) রিপোর্ট। অর্থনৈতিক ও ভূরাজনৈতিক অনিশ্চয়তার সময়ে বিনিয়োগকারীরা স্বর্ণকে নিরাপদ সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করেন। সুদের হার কম থাকলে এ ধাতুর দাম আরও বাড়ে। বিনিয়োগ ব্যাংক জুলিয়াস বেয়ারের বিশ্লেষক কার্স্টেন মেঙ্কে বলেন, ‘ফেড আসলে এনএফপি রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করবে না।
কারণ, এখনো মার্কিন সুদের হার নিরপেক্ষ হারের চেয়ে বেশি। মুদ্রানীতি তাই কঠোর। যদি অর্থনীতি ধীর হয়, তবে সুদের হার অন্তত নিরপেক্ষ পর্যায়ে নামানো দরকার।’ সিএমই ফেডওয়াচ টুল অনুযায়ী, বিনিয়োগকারীরা ৯৫ শতাংশ সম্ভাবনা দেখছেন যে, ফেড এ মাসেই সুদের হার কমাবে।
অন্যান্য ধাতুর মধ্যে গতকাল বুধবার স্পট সিলভার ১.৫ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্স ৪৭.৩৯ ডলারে উঠেছে, যা ১৪ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ। প্লাটিনাম ০.৬ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৫৮৩ দশমিক ৭৫ ডলার। আর প্যালাডিয়ামের দাম ০.৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৬৩ দশমিক ৪৪ ডলারে।
