দ্য ইকোনমিস্টের প্রতিবেদন

বৈশ্বিক গেমিং অর্থনীতির কেন্দ্র হয়ে উঠছে সৌদি

প্রকাশ : ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল রপ্তানিকারক দেশ সৌদি আরব এখন দ্রুত রূপ নিচ্ছে ভিডিও গেম শিল্পের এক নতুন পরাশক্তিতে। বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগে দেশটি গড়ে তুলছে এমন এক সাম্রাজ্য, যা শিগগিরই বৈশ্বিক গেমিং অর্থনীতির কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে। ফরাসি গেম নির্মাতা ইউবিসফট সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছে জনপ্রিয় গেম অ্যাসাসিনস ক্রিড এর নতুন সংস্করণে যুক্ত হচ্ছে সৌদি আরবের ঐতিহাসিক শহর আল-উলা। এটি দেশটির প্রথমবারের মতো কোনো আন্তর্জাতিক ভিডিও গেমে সরাসরি অংশগ্রহণের উদাহরণ। ইউবিসফট জানায়, গেমটির উন্নয়নে সৌদি রাষ্ট্রায়ত্ত স্যাভি গেম গ্রুপ সহযোগিতা করছে। এর মধ্যেই আরও বড় চমক আসে সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে, যখন সৌদি আরবের সার্বভৌম তহবিল পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (পিআইএফ) নেতৃত্বাধীন এক কনসোর্টিয়াম ৫৫ বিলিয়ন ডলারে মার্কিন গেম নির্মাতা ইলেকট্রনিক আর্টসকে অধিগ্রহণের ঘোষণা দেয়।

এই চুক্তির মাধ্যমে ফিফা, দ্যা সিমস ও ম্যাডেন এনএফএল এর মতো বিশ্বখ্যাত গেম ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা এখন সৌদি আরবের হাতে। পিআইএফ এরইমধ্যে স্যাভি গেমস গ্রুপকে দিয়েছে ৩৮ বিলিয়ন ডলারের তহবিল, যার লক্ষ্য দেশটিকে গেমিং শিল্পের বৈশ্বিক কেন্দ্র বানানো। ২০২৫ সালে তারা অধিগ্রহণ করে নিআনটিক-এর গেমিং ইউনিট, যারা পকিমন গো তৈরি করেছিল। এছাড়া টম রাইডার নির্মাতা এমব্রেসার গ্রুপেও তাদের বড় বিনিয়োগ রয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে জাপানের নিনটেনডো, ক্যাপকম ও স্কয়ার এননিক্স। দক্ষিণ কোরিয়ার নেক্সন ও এনসিএসঅফট। যুক্তরাষ্ট্রের ট্যাক টু-ইন্টারেক্টিভ। এসব প্রতিষ্ঠানে সৌদির বিনিয়োগের পরিমাণ ১১.৭ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। স্যাভি গেমসের প্রধান নির্বাহী ব্রায়ান ওয়ার্ড বলেন, আমাদের লক্ষ্য হলো ডিজনির মতো একটি কোম্পানি তৈরি করা তবে সেটি হবে গেমিং ও ই-স্পোর্টসের জন্য। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্রতিষ্ঠানটি ২০২২ সালে এসএল ও ফ্যাসিইট নামে দুই শীর্ষ ই-স্পোর্টস কোম্পানি কিনে নেয় ১.৫ বিলিয়ন ডলারে। বর্তমানে সৌদি আরবের দখলে রয়েছে বিশ্বের ৪০ শতাংশ ই-স্পোর্টস বাজার। সৌদি আরব গত দুই বছর ধরে আয়োজন করছে ইস্পোর্টস ওয়ার্ল্ড কাপ। যেখানে অংশ নিচ্ছে বিশ্বের শীর্ষ গেমাররা। ২০২৫ সালের আসরে বিক্রি হয় ২.৫ লাখ টিকিট, আর অনলাইনে দেখা হয় ৭৫০ মিলিয়ন বার।