সুদের হার ‘সিঙ্গেল ডিজিটে’ নামানোর আহ্বান ব্যবসায়ীদের
প্রকাশ : ১০ অক্টোবর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
উচ্চ সুদের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ীরা। আগামী মুদ্রানীতিতে সুদের হার কমিয়ে এক অংকে নামিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও বিটিএমএসহ বিভিন্ন বাণিজ্য সংগঠনের ১৪ সদস্যের প্রতিনিধি দলের বৈঠকে এই দাবি জানানো হয়। বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের নির্বাহী পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে এফবিসিসিআই মহাসচিব মো. আলমগীর বলেন, বর্তমানে সুদের হার ১৪ শতাংশের ওপরে। কিন্তু ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা ১০ থেকে ১১ শতাংশের বেশি মুনাফা করতে পারেন না। ফলে এত উচ্চ সুদ ব্যবসাবান্ধব নয়, বরং টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে, বিনিয়োগ বাড়াতে ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদহার ধীরে ধীরে কমিয়ে এক অঙ্কে নামানোর অনুরোধ জানিয়েছি।
এফবিসিসিআই মহাসচিব বলেন, গভর্নর জানিয়েছেন, আগামী মুদ্রানীতিতেই নীতি সুদহার এক অঙ্কে নামিয়ে আনা হবে। আলমগীর জানান, বৈঠকে কোভিড-১৯, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তায় ক্ষতিগ্রস্ত ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠানের পুনর্গঠনের লক্ষ্যে গঠিত কমিটির মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেপ্টেম্বরে মেয়াদ শেষ হওয়া ওই কমিটির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর বিষয়ে গভর্নর সম্মতি দিয়েছেন। এছাড়া ৫০ কোটি টাকার নিচের ঋণগ্রহীতাদের নীতি সহায়তা দেওয়ার জন্য নতুন একটি পৃথক কমিটি গঠনের প্রস্তাবও দেন ব্যবসায়ীরা, যা বাংলাদেশ ব্যাংক ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করছে।
রপ্তানিমুখী শিল্প খাতে ব্যাংকিং জটিলতা দ্রুত সমাধানে বাংলাদেশ ব্যাংকে বিশেষ কমিটি গঠনের প্রস্তাবও দেওয়া হয়। এফবিসিসিআই মহাসচিব বলেন, রপ্তানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো প্রায়ই ব্যাংকিং জটিলতার মুখে পড়ে। এসব সমস্যা দ্রুত সমাধানে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিয়েছি। এতে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএসহ সংশ্লিষ্ট বাণিজ্য সংগঠনের প্রতিনিধি থাকবেন। মো. আলমগীর জানান, এ প্রস্তাবে গভর্নর সম্মতি দিয়েছেন এবং একজন ডেপুটি গভর্নরকে বিষয়টি দেখভালের দায়িত্ব দিয়েছেন।
