নন-লাইফ বিমায় ‘ব্যক্তি এজেন্ট কমিশন’ বাতিলের সিদ্ধান্ত

প্রকাশ : ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

নন-লাইফ বা সাধারণ বিমা খাতে ব্যক্তি এজেন্টদের কমিশন ব্যবস্থা তুলে দিচ্ছে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। শিগগিরই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। প্রজ্ঞাপন কার্যকর হলে নন-লাইফ বিমা কোম্পানিগুলো আর প্রিমিয়ামের ওপর ব্যক্তি-এজেন্টকে কোনো কমিশন দিতে পারবে না। গত সোমবার আইডিআরএ বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ) ও দেশের সব নন-লাইফ বিমা কোম্পানির প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই নির্দেশনা জানায়। একইসঙ্গে সব ব্যক্তি-এজেন্টের লাইসেন্স স্থগিত করার সিদ্ধান্তও জানানো হয়। কোম্পানিগুলোকে আগামী ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ব্যক্তি-এজেন্টদের তালিকা আইডিআরএ-তে পাঠাতে হবে।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গত ২৫ নভেম্বর আইডিআরএ, বিআইএ এবং নন-লাইফ বিমা কোম্পানিগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক যৌথসভায় কমিশন শূন্য শতাংশে নামিয়ে আনা এবং ব্যক্তি-এজেন্টদের লাইসেন্স স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ব্যক্তি-এজেন্ট কমিশন শূন্য শতাংশে নামানোর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আইডিআরএকে সহযোগিতা করতে বিআইএকে একটি ভিজিলেন্স টিম গঠনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কোনো কোম্পানি নির্দেশনা লঙ্ঘন করলে সেই ভিজিলেন্স টিম আইডিআরএকে অবহিত করবে এবং আইডিআরএ বিমা আইনের অধীনে ব্যবস্থা নেবে।

এতদিন ব্যক্তি-এজেন্টদের প্রিমিয়ামের ওপর আইনি কাঠামোর মধ্যেই ১৫ শতাংশ পর্যন্ত কমিশন দেওয়া হতো। তবে খাত-সংশ্লিষ্টদের মতে, বাস্তবে অনেক কোম্পানি আরও বেশি কমিশন দিয়ে ব্যবসা ধরার প্রতিযোগিতায় নামতো। এতে শুধু অসুস্থ প্রতিযোগিতাই বাড়েনি, বরং প্রিমিয়ামের একটি বড় অংশ কমিশন হিসেবে বেরিয়ে যাওয়ায় কোম্পানির আয় ও মুনাফাও কমে যায়। পাশাপাশি বহু প্রতিষ্ঠানে অসাধু উদ্যোক্তা ও কর্মকর্তারা কোম্পানির টাকা ভিন্নপথে সরিয়ে নিতে এজেন্ট কমিশনকে অপব্যবহার করতেন।

খাতের অভিজ্ঞরা বলছেন, ব্যক্তি-এজেন্ট কমিশন বাতিল হলে নন-লাইফ বিমা খাতে দীর্ঘদিনের অনিয়মের একটি বড় পথ বন্ধ হবে। এতে আয়-ব্যয়ের স্বচ্ছতা বাড়বে এবং কোম্পানিগুলোর প্রকৃত আয় ও মুনাফায় ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।