রাজশাহীতে বেড়েছে আলু-পেঁয়াজ-ডিমের দাম

প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজশাহীর বাজারে চলতি মাসে শুরুতে আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের দাম বেড়েছে। তবে শীতকালীন সবজির দাম আগের মতই আছে। গতকাল বুধবার রাজশাহী শহরের কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের চেয়ে আলুর দাম এই সপ্তাহে বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। দাম বেড়ে এই সপ্তাহে প্রতি কেজি ডায়মন্ড আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা, লাল আলু ৩০-৩৫ টাকা, হল্যান্ড আলু ২০-২৫ ও নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে। এছাড়াও গত সপ্তাহের থেকে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। গত সপ্তাহে ৯০ থেকে ১১০ টাকা দরে বিক্রি হলে সরবরাহ কমার অভিযোগে দাম বেড়েছে, বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে। আদা ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা কেজি, রসুন প্রতি কেজি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা ও কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে। এদিকে হালি প্রতি ৫ টাকা বেড়েছে ডিমের দাম। বিক্রি হচ্ছে সাদা ডিম ৪২ থেকে ৪৫ ও লাল ৪৫-৫৫ টাকায়।

এদিকে শীত মৌসুমের সব ধরনের সবজির আগের দামেরই বিক্রি হচ্ছে বেগুন ও শিম ৯০-১০০ টাকা থেকে ১২০-১৩০ টাকা, টমেটো ১২০-১৩০ থেকে ১৬০-১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপি ৩৫-৪০ টাকা থেকে ৮০ টাকা, মুলা ২০ থেকে ৪০, কচু ৪০ থেকে ৬০ এবং মিষ্টিকুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকায় পৌঁছেছে। পালংশাক, লালশাক, ধনে পাতাসহ অন্যান্য পাতাও ১০-২০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে লাউয়ের দাম আপাতত স্থিতিশীল রয়েছে। ব্যবসায়ীরা জানায়, সরবরাহ কম আছে। পাশাপাশি আগাম সবজির উৎপাদন কম হয়েছে। ফলে আড়তগুলোতেও সরবরাহ কমে গেছে। তবে দাম বাড়েনি।

লক্ষীপুরের বাজারে সবজি বিক্রেতা হুমায়ন সরকার বলেন, সবজির দাম বাড়েনি। তবে সরবরাহ কম আছে। শীতের সবজি চলতি মাসে সরবরাহ বেড়ে গেলেই দাম আরো কমে যাবে। লক্ষীপুরে গৃহিণী জরিনা খাতুন বলেন, সবজির দাম বাড়েনি। তবে আলুর দাম আগের চেয়ে বাড়ছে। কিন্তু সবজির দাম মনে হচ্ছে এবার চড়াই থেকে যাবে। দাম না কমলে তো এখন সংসার চালানোর কঠিন হয়ে পড়েছে। এদিকে রাজশাহীর বাজারে মাছে দাম আগের মতই আছে। চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৩৮০ থেকে ৪২০ টাকায়, পাঙাশ ২৫০ টাকায়, দেশি শিং ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায় এবং তেলাপিয়া ৩০০ টাকায়। দেশি পাবদা বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায়।

চালের বাজারেও স্থিতিশীলতা নেই। সরু নাজিরশাইল বা সিলেক্ট চালের দাম কেজিপ্রতি ৮০ থেকে ৮৫ টাকা, মাঝারি মানের চাল ৬৫ থেকে ৭০ টাকা এবং মোটা চাল ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আটা বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়, আর প্যাকেটজাত সয়াবিন তেলের লিটার ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকায়। সরিষার তেল লিটারে ২০০ টাকায় পৌঁছেছে। খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১০০ থেকে ১০৫ টাকায়, আর প্যাকেটজাত চিনি ১২০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। খেসারি ডাল ১৫০ টাকা, মসুর ডাল ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে ব্রয়লার মুরগির দাম এখন কেজিপ্রতি ২০০ টাকা, সোনালি ৩৩০ থেকে ৩৫০ টাকা, আর দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকায়।