এলসির খবরে স্বস্তি ফিরল বগুড়ার পেঁয়াজের বাজারে

প্রকাশ : ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  বগুড়া প্রতিনিধি

গত দুই দিনের অস্থিরতার পর অবশেষে বগুড়ার পেঁয়াজের বাজারে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন সাধারণ ক্রেতারা। ভারত থেকে আমদানির জন্য নতুন করে লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) খোলার খবরে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দামে বড় ধরনের পতন ঘটেছে। গতকাল ক্রেতা-বিক্রেতাদের কাছে জানা গেছে, মাত্র একদিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম কমেছে ৩০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত। এই দর পতন ভোক্তা সাধারণের ক্রয়ক্ষমতায় এনেছে বিশাল স্বস্তি। গতকাল সোমবার শহরের পাইকারি রাজাবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ থাকা এবং সরবরাহ ঘাটতির কারণে লাগামছাড়া ছিল দাম। এমনকি বাজারে নতুন পেঁয়াজ ওঠা শুরু হলেও দর কমছিল না।

খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, আজ পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। অথচ গতকালও পেঁয়াজ ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া নতুন দেশি পেঁয়াজ খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা কেজি।

পাইকারি বাজারে মূল্য প্রতি কেজি ৬৫ টাকা নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে শহরের রাজাবাজারের পাইকার আব্দুল মান্নান জানান, দাম বেশি হওয়ার কারণ হচ্ছে যে, যারা বড় ব্যবসায়ী তারা বিভিন্ন হাট থেকে পেঁয়াজ কিনে নিয়ে আসেন। তারা বলেন যে হাটে পেঁয়াজের আমদানি নাই। তবে পেঁয়াজের হঠাৎ দর পতনে সাধারণ ক্রেতারা খুশি। শহরের নামাজগড় এলাকার বাসিন্দা ও বাজার করতে আসা খোরশেদ আলম বলেন, এই দাম কমার জন্য আমরা অনেক দিন ধরে অপেক্ষা করছিলাম। ১৫০ টাকা দিয়ে পেঁয়াজ কেনা মধ্যবিত্তদের জন্য অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এলসি খোলার খবরে দাম কমে যাওয়ায় এখন কিছুটা হলেও স্বস্তি পেলাম।

আরেক ক্রেতা সুমন আহমেদ জানান, পেঁয়াজ রান্নার একটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান, কিন্তু এর দাম এত বাড়ছিল যে ব্যবহার প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলাম। এখন দাম কমায় আমরা খুশি। আশা করছি, সরকার এই সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখবে যাতে বাজার আর অস্থির না হয়। পেঁয়াজ আমদানির খবরেই দাম কমেছে এমন মন্তব্য করে রাজাবাজারের আড়তদার পরিমল প্রসাদ রাজ জানান, হঠাৎ এলসি খোলার খবরে অনেক ব্যবসায়ী লোকসানে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন। তবে তিনি ক্রেতাদের জন্য একটি সুখবর দিয়েছেন। সরবরাহ ক্রমেই বাড়ছে। এলসি করা পেঁয়াজ বাজারে এলে দাম আরও কমবে এবং পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজিতেও বিক্রি হতে পারে।