ঢাকা সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

হাদিসের শিক্ষা

অন্যরকম ভালোবাসা

আবদুল্লাহ সরদার
অন্যরকম ভালোবাসা

খাদিজা (রা.)-এর পরে রাসুল (সা.)-এর সবচেয়ে প্রিয়তমা স্ত্রী হলেন আয়েশা (রা.)। মাঝেমধ্যে রাসুল (সা.) তার সঙ্গে খুনসুটি করতেন। বিভিন্ন বর্ণনায় সেসব মধুময় গল্প চিত্রিত করেছেন আয়েশা (রা.) নিজেই। এঁকেছেন এক অমর প্রণয়ের ক্যানভাস। তিনি বলেন, একবার রাসুল (সা.) আমাকে বললেন, ‘আয়েশা! চলো, দৌড় প্রতিযোগিতা করি।’ সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে গেলাম। শুরু হলো প্রতিযোগিতা। রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে দৌড় প্রতিযোগিতা করে তাকে ছাড়িয়ে আগে চলে গেলাম। পরবর্তী সময়ে আমি কিছুটা স্বাস্থ্যবান হয়ে যাওয়ার পর তার সঙ্গে আবারও দৌড় প্রতিযোগিতা করি। কিন্তু এবার তিনি আমাকে হারিয়ে বিজয়ী হলেন। এরপর রাসুল (সা.) আমাকে বললেন, ‘এ বিজয় সেই বিজয়ের বদলা।’ (সুনানে আবি আবি দাউদ : ২২১৪)।

আয়েশা (রা.)-এর জন্য রাসুল (সা.)-এর ঘরে ভিন্ন কুঠুরি ছিল। আয়েশা (রা.) বান্ধবীদের নিয়ে খেলাধুলা করতেন সেখানে। একটি মজার ঘটনা ঘটে একবার। তারা খেলছিলেন সেখানে। হঠাৎ সবাই রাসুল (সা.)-এর আগমনের ধ্বনি টের পায়। খেলা ছেড়ে বান্ধবীরা এদিক-ওদিক লুকিয়ে পড়ল। রাসুল (সা.) এসে সবার হাত ধরে ধরে আবার আয়েশা (রা.)-এর সঙ্গে খেলায় জুড়ে দিলেন। (বোখারি : ৬১৩০)।

জীবনের নানা বাঁকে মানুষের কত শত শখ জন্মায়। একজন মানুষ হিসেবে আয়েশা (রা.)-এরও একবার শখ হলো, হাবশি ছেলেদের খেলা দেখার। রাসুল (সা.) সে শখ পূরণ করলেন অবলীলায়। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘একবার হাবশি ছোট্ট ছেলেরা মসজিদের কাছে যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে খেলাধুলা করছিল। রাসুল (সা.) আমাকে আড়াল করে দাঁড়ালেন। আমি হাবশিদের খেলা দেখছিলাম। আমার খেলা দেখার শখ পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত রাসুল (সা.) কষ্ট করে আমার জন্য পুরোটা সময় দাঁড়িয়ে ছিলেন।’ (বোখারি : ৫২৩৬)।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত