ঢাকা বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

মদিনা শরিফের জুমার খুতবা

আল্লাহর ইবাদত আল্লাহর হক

শায়খ ড. আলী বিন আবদুর রহমান আল হুজাইফি
আল্লাহর ইবাদত আল্লাহর হক

নিরন্তর সৌভাগ্য অর্জনে আল্লাহর ডাকে সাড়া দিতে হবে। আমাদের সৃষ্টির পেছনে আল্লাহর যেই উদ্দেশ্য, তা অর্জনে শুধু তাঁর সন্তুষ্টির জন্য কাজ করতে হবে। আল্লাহর ডাকে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে সাড়া দিতে হবে। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘হে মানবসমাজ! তোমরা তোমাদের পালনকর্তার ইবাদত কর, যিনি তোমাদের এবং তোমাদের পূর্ববর্তীদের সৃষ্টি করেছেন। আশা করা যায়, তোমরা পরহেজগারি অর্জন করতে পারবে। যে পবিত্র সত্তা তোমাদের জন্য ভূমিকে বিছানা এবং আকাশকে ছাদস্বরূপ স্থাপন করেছেন, আর আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করে তোমাদের খাদ্য হিসেবে তোমাদের জন্য ফল-ফসল উৎপাদন করেছেন। অতএব, তোমরা অন্য কাউকে আল্লাহর সমকক্ষ স্থির কোরো না। বস্তুত এসব তোমরা জানো।’ (সুরা বাকারা : ২১-২২)। এ আয়াতে আল্লাহতায়ালা আমাদের ওপর তার রহমত-দয়া, সহযোগিতার জন্য পরিপূর্ণ ইখলাসের সঙ্গে আল্লাহভীরুতা অর্জনে তাঁর ইবাদত করতে বলেছেন। যাতে মানুষ মনুষ্যত্বের শ্রেষ্ঠ গুণাবলি অর্জন করতে পারে। আল্লাহর পছন্দনীয় পথ ও পদ্ধতিতে নিজেকে পরিশুদ্ধ করতে পারে। যেভাবে আল্লাহ? তাঁর প্রিয় বান্দাদের সঠিক পথ দেখিয়েছেন। ইবাদতের পরিপূর্ণ স্তরে পৌঁছাতে পারে। বান্দা যেন পরিশুদ্ধভাবে সব ভালো ইবাদত করতে পারে। নিজেকে অশ্লীলতা, বেহায়াপনা আর অভিশপ্ত কাজ থেকে ফিরিয়ে রাখতে পারে। জান্নাতে এমন মানুষদের জন্য রয়েছে চিরস্থায়ী শান্তির নিশ্চয়তা। যারা একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করে, আল্লাহ তাদের পরকালে ভয়াবহ শাস্তি থেকে রক্ষার নিশ্চয়তা দিয়েছেন।

সৃষ্টির লক্ষ্য-উদ্দেশ্য

সৃষ্টির লক্ষ্য-উদ্দেশ্য হচ্ছে, একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করা। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আমি নভোমণ্ডল, ভূমণ্ডল ও এ দুয়ের মধ্যবর্তী সবকিছু ক্রীড়াছলে সৃষ্টি করিনি। আমি এগুলো যথাযথ উদ্দেশে সৃষ্টি করেছি; কিন্তু তাদের অধিকাংশই বোঝে না।’ (সুরা দুখান : ৩৮-৩৯)। আল্লাহতায়ালা আরও বলেন, ‘আমার ইবাদত করার জন্যই আমি মানব ও জিন জাতি সৃষ্টি করেছি। আমি তাদের কাছে জীবিকা চাই না। এটাও চাই না যে, তারা আমাকে আহার্য জোগাবে। আল্লাহতায়ালাই তো জীবিকাদাতা শক্তির আধার, পরাক্রান্ত।’ (সুরা জারিয়াত : ৫৬-৫৮)। তিনি আরও বলেন, ‘হে বনি আদম! আমি কি তোমাদের বলে রাখিনি যে, শয়তানের ইবাদত কোরো না, সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু? এবং আমার ইবাদত কর। এটাই সরল পথ।’ (সুরা ইয়াসিন : ৬০-৬১)।

সব নবী একত্ববাদের দাওয়াত দিয়েছেন

শুরু থেকে শেষ সব নবী তাদের উম্মাহকে একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করা এবং শিরক থেকে বেঁচে থাকার দাওয়াত দিয়েছেন। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আমি নুহকে তার সম্প্রদায়ের কাছে পাঠিয়েছিলাম। সে বলেছিল, হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা আল্লাহর বন্দেগি কর। তিনি ছাড়া তোমাদের কোনো মাবুদ নেই। তোমরা কি ভয় কর না!’ (সুরা মোমিনুন : ২৩)। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, যখন রাসুল (সা.) মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা.)-কে ইয়ামেনে গভর্নর হিসেবে প্রেরণ করলেন, তখন তাকে বললেন, ‘তোমাকে আহলে কিতাবদের কাছে পাঠানো হচ্ছে, শুরুতেই তুমি তাদের একমাত্র আল্লাহর ইবাদতের দাওয়াত দেবে।’ (বোখারি ও মুসলিম)।

আল্লাহর হক

আল্লাহ আমাদের জন্য যা কিছু আদেশ করেছেন এবং যা কিছু নিষেধ করেছেন, এগুলো তার হক কিংবা অধিকার। কেননা, বান্দার ওপর আল্লাহর হক হচ্ছে, তাকে যেন ভুলে না যায়, সর্বদা স্মরণে রাখে। গোনাহমুক্ত আনুগত্য করে। আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা আদায় করবে, নেয়ামতের অশুকরিয়া করবে না। আল্লাহকে নিজের মাল, সম্পদ, সন্তান ইত্যাদি থেকে বেশি ভালোবাসবে। আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা সবার ঊর্ধ্বে থাকবে। বান্দা নিজের অন্যায়ের প্রতি অনুতপ্ত হবে এবং নিজেকে সম্পূর্ণরূপে তাঁর প্রতি আত্মসমর্পণ করবে। খাঁটি বান্দা আল্লাহর নির্দেশনায় সবচেয়ে বেশি খুশি হয়। আল্লাহতায়ালাই একমাত্র উপাসনার যোগ্য। কেননা, তিনি মহিমান্বিত, দয়ালু, পরিপূর্ণ এবং সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। তিনিই এ সৃষ্টিকে বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ নেয়ামত দান করেছেন। তিনিই সবচেয়ে সুন্দর নাম এবং গুণে গুণান্বিত।

আল্লাহর পক্ষ থেকে বড় রহমত

আল্লাহর পক্ষ থেকে সবচেয়ে বড় দয়া এবং অনুগ্রহ হচ্ছে, তিনি কোন ইবাদত কীভাবে করলে খুশি হন, সেগুলো আমাদের বলে দিয়েছেন। কোন কাজ করলে আল্লাহর নাফরমানি হয়, সে ব্যাপারেও বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন। যেন সবকিছু জেনে-বুঝে আল্লাহর আনুগত্য করে মানুষ খাঁটি বান্দা হতে পারে। আমলের ক্ষেত্রে বস্তুনিষ্ঠ হতে পারে। আল্লাহ এভাবে বান্দাকে সব ধরনের ভালো প্রতিদান দিতে চান। তার শাস্তি থেকে মুক্তি দিতে চান। আল্লাহতায়ালা ইবাদতের মাধ্যমেই মানুষের মর্যাদা বৃদ্ধি করেন। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘কেউ সম্মান চাইলে জেনে রাখুক, সব সম্মান আল্লাহর জন্য। তাঁরই দিকে আরোহণ করে সৎবাক্য এবং সৎকর্ম তাকে তুলে নেয়। যারা মন্দ কর্মের চক্রান্তে লেগে থাকে, তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি। তাদের চক্রান্ত ব্যর্থ হবে।’ (সুরা ফাতির : ১০)।

ইসলাম আমাদের সম্মানিত করেছে

ওমর (রা.) বলেন, ‘আল্লাহ আমাদের ইসলামের মাধ্যমে সম্মানিত করেছেন। কেউ যদি ইসলামের বাইরে গিয়ে সম্মান অন্বেষণ করে, তাহলে আল্লাহ তাকে সম্মানের পরিবর্তে অপদস্থ করবেন।’ আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাস মানুষকে শক্তিশালী করে, পক্ষান্তরে শিরকের মাধ্যমে মানুষের মানসিক অবস্থা দুর্বল হয়। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘যারা আল্লাহর পরিবর্তে অপরকে সাহায্যকারীরূপে গ্রহণ করে, তাদের উদাহরণ মাকড়সা। সে ঘর বানায়। আর সব ঘরের মধ্যে মাকড়সার ঘরই তো অধিক দুর্বল, যদি তারা জানত।’ (সুরা আনকাবুত : ৪১)।

শিরকমুক্ত ইবাদত বড় নেয়ামত

শিরকমুক্ত আল্লাহর ইবাদত থেকে বড় নেয়ামত মানুষের জন্য আর কী হতে পারে? আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাসের মাধ্যমে মানুষ একাধিক কিংবা অনেক উপাস্যকে উপাসনা করার মতো অভিশাপ থেকে মুক্তি পায়। এমন উপাস্য, যাদের না আছে কোনো উপকার করার ক্ষমতা, না আছে ক্ষতি করার ক্ষমতা। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আপনি কি তাকে দেখেন না, তারা প্রবৃত্তিকে উপাস্যরূপে গ্রহণ করে? তবুও কি আপনি তার জিম্মাদার হবেন?’ (সুরা ফোরকান : ৪৩)। আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাসের মাধ্যমে আমরা সংশয়বাদ থেকে রক্ষা পেতে পারি; যা মানুষকে ধীরে ধীরে শিরকের দিকে নিয়ে যায়।

অন্তর ও শারীরিক ইবাদত

ইবাদত সাধারণত দুই প্রকার; অন্তরের ইবাদত এবং শারীরিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ইবাদত। অন্তরের ইবাদত হচ্ছে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ ইবাদত। দোয়া, নিষ্ঠা, অন্তরে আল্লাহর ভয়, অদৃশ্যে বিশ্বাস স্থাপন, আল্লাহর বিধানের প্রতি আনুগত্য স্বীকার করা, আল্লাহকে বিশ্বাস করা, তাঁকে ভালোবাসা, আল্লাহর রহমতের আশা এবং শাস্তির ভয় অন্তরে লালন করা। আল্লাহর জন্য কাউকে ভালোবাসা, আবার আল্লাহর জন্যই কাউকে ঘৃণা করা। এগুলো হচ্ছে অন্তরের ইবাদত। মুফাসসিরিনে কেরাম অন্তরের ইবাদতের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে উদাহরণস্বরূপ বলেন, ‘এটা হচ্ছে ফিল্টার করা মধুর মতো।’ সাহাবায়ে কেরাম অন্তরের ইবাদত কেমন হবে, তা আমাদের শিখিয়েছেন। তা হচ্ছে, শারীরিক ইবাদতের ভিত্তি। শারীরিক ইবাদত হচ্ছে, ইসলামের পাঁচটি ভিত্তি এবং এ সংশ্লিষ্ট যা আছে সব। আমাদের অস্তিত্বের পেছনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্যই হচ্ছে আল্লাহর ইবাদত করা। তাই আমরা তাঁর ইবাদত করি। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘সত্য যদি তাদের কাছে কামনা-বাসনার অনুসারী হতো, তবে নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডল এবং এগুলোর মধ্যবর্তী সবকিছুই বিশৃঙ্খল হয়ে পড়ত। আমি তাদের দান করেছি উপদেশ; কিন্তু তারা তাদের উপদেশ অনুধাবন করে না।’ (সুরা মোমিনুন : ৭১)।

আল্লাহর ইবাদত আল্লাহর হক

আল্লাহর ইবাদত আল্লাহর হক তথা অধিকার সংরক্ষণ করে। ইবাদতই আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের মাধ্যম। ইবাদত রাসুল (সা.)-এর হক তথা অধিকার সংরক্ষণ করে। এরপর পিতামাতার হক সংরক্ষণ করে। এরপর অভিভাবকের অধিকার সংরক্ষণ করে। আত্মীয়দের হক রক্ষা করে। এ ভালো কাজের প্রতিদান আল্লাহ? অবশ্যই দেবেন। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘হে আমার বান্দারা, তোমাদের আজ কোনো ভয় নেই এবং তোমরা দুঃখিতও হবে না। তোমরা আমার আয়াতগুলোতে বিশ্বাস স্থাপন করেছিলে এবং আজ্ঞাবহ ছিলে। সানন্দে তোমরা নিজ নিজ সঙ্গীসহ জান্নাতে প্রবেশ কর। তাদের কাছে পরিবেশন করা হবে সোনার থালা ও পানপাত্র। তাতে থাকবে মনে যা চায় এবং নয়ন যা তৃপ্ত হয়। তোমরা সেখানে চিরকাল অবস্থান করবে। জান্নাতের উত্তরাধিকারী হওয়া তোমাদের কর্মের ফল। সেখানে তোমাদের জন্য প্রচুর ফলমূল থাকবে; তা থেকে তোমরা আহার করবে।’ (সুরা যুখরুফ : ৬৮-৭৩)।

ইবাদতের সর্বোত্তম স্তর

যারা আল্লাহর ইবাদত করে, তাদের অনেকের মর্যাদা অনেকের তুলনায় বেশি। যারা আল্লাহর ইবাদত শুধু তাঁকে খুশি করা এবং নেকি অর্জনের জন্য করে, তাদের মর্যাদা আল্লাহর কাছে সবার ঊর্ধ্বে। এমন মর্যাদার অধিকারী হচ্ছেন মুহাজির, আনসার এবং তাদের অনুসরণকারীরা। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘এ ধন-সম্পদ দেশত্যাগী নিঃস্বদের জন্য, যারা আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টিলাভের অন্বেষণে এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের সাহায্যার্থে নিজেদের বাস্তুভিটা ও ধন-সম্পদ থেকে বহিষ্কৃত হয়েছে। তারাই সত্যবাদী।’ (সুরা হাশর : ৮)। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আপনি নিজেকে তাদের সংসর্গে আবদ্ধ রাখুন, যারা সকাল ও সন্ধ্যায় তাদের পালনকর্তাকে তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনে আহ্বান করে এবং আপনি পার্থিব জীবনের সৌন্দর্য কামনা করে তাদের থেকে নিজের দৃষ্টি ফিরিয়ে নেবেন না। যার হৃদয়কে আমার স্মরণ থেকে গাফেল করেছি, যে নিজের প্রবৃত্তির অনুসরণ করে এবং যার কার্যকলাপ হচ্ছে সীমা অতিক্রম করা, আপনি তার আনুগত্য করবেন না।’ (সুরা কাহফ : ২৮)। সুতরাং প্রথমেই নিয়ত খালেস করে আল্লাহর সন্তষ্টি অর্জনে নেকি অর্জনের আশায় ইবাদত করা চাই।

ইবাদতের দ্বিতীয় স্তর

ইবাদতের দ্বিতীয় স্তর হচ্ছে, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের ব্যাপারে মাঝে মাঝে গাফেল হয়ে যাওয়া; তবে নেকি অর্জনের জন্য তারা ইবাদত করে থাকেন। এ ধরনের ইবাদতের প্রতিদান আল্লাহ দান করবেন। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘যারা পরকাল কামনা করে এবং মোমিন অবস্থায় তার জন্য যথাযথ চেষ্টা-সাধনা করে, এমন লোকদের চেষ্টা স্বীকৃত হয়ে থাকে।’ (সুরা বনি ইসরাইল : ১৯)।

ইবাদতের তৃতীয় স্তর

তৃতীয় শ্রেণির ইবাদত হচ্ছে এমন ব্যক্তিদের ইবাদত, যারা আবশ্যকীয় আমল কিছু ছেড়ে দেয়, আবার কিছু নিষিদ্ধ কাজের সঙ্গেও সংশ্লিষ্ট থাকে। এদের ভালো আমলের নেকি আল্লাহ? নষ্ট করবেন না। এমন অবস্থায় যদি সে মারা যায়, তাহলে এর পরিণতি সম্পর্কে আল্লাহ? ভালো জানেন। হয়তো আল্লাহ রহমতের চাদরে আগলে নেবেন অথবা শাস্তি দেবেন।

ইবাদতের চতুর্থ স্তর

চতুর্থ প্রকার ইবাদত হচ্ছে এমন লোকের ইবাদত, যে কখনও ইবাদত করে, আবার কখনও করে না। যদি ইবাদতে থাকা অবস্থায় মারা যায়, তাহলে আল্লাহ হয়তো তাকে মাফ করে দেবেন; কিন্তু যদি তার মৃত্যু আল্লাহর নাফরমানির ওপর হয়, তাহলে সে জাহান্নামের অধিবাসী হবে। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে লোক তাঁর সঙ্গে অন্য কাউকে শরিক করে। তিনি ক্ষমা করেন এর নিম্ন পর্যায়ের পাপ, যার জন্য তিনি ইচ্ছে করেন। আর যে লোক আল্লাহর সঙ্গে অংশীদার সাব্যস্ত কর, সে যেন অপবাদ আরোপ করল।’ (সুরা নিসা : ৪৮)।

এ চার প্রকারের বাইরে যারা আল্লাহর ইবাদত করে না, আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাসী না, পরকালে বিশ্বাসী না, মুহাম্মদ (সা.)-এর নবুয়তে বিশ্বাস করে না, ইসলামের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে, মোনাফেক- এদের অবস্থান হচ্ছে চিরস্থায়ী জাহান্নাম। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘তোমাদের পালনকর্তা বলেন, তোমরা আমাকে ডাক, আমি সাড়া দেব। যারা আমার ইবাদতে অহংকার করে, তারা সত্বরই লাঞ্ছিত হয়ে জাহান্নামে দাখিল হবে।’ (সুরা মোমিন : ৬০)। আল্লাহতায়ালা আরও বলেন, ‘নিঃসন্দেহে মোনাফেকরা দোজখের সর্বনিম্ন স্তরে রয়েছে। আর তোমরা তাদের জন্য কোনো সাহায্যকারী কখনও পাবে না।’ (সুরা নিসা : ১৪৫)।

১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৪ (১৪ অক্টোবর ২০২২) তারিখে মদিনার মসজিদে নববির জুমার খুতবার সংক্ষেপিত অনুবাদ করেছেন আল মামুন নূর

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত