প্রশ্ন : কবরের তিনটি প্রশ্নের উত্তর মূলত কারা দিতে পারবে? শুধু মোমিনরাই পারবে নাকি ফাসেকরাও পারবে?
উত্তর : শুধু কাফেররা কবরের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে না। মুসলমানরা দিতে পারবে; যদিও সে ফাসেক হোক না কেন। ফাসেক মুসলমান কবরের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারলেও তার কৃত গোনাহের কারণে কবরে তার শাস্তি হতে পারে। (আল ফাতাওয়াল হাদিসিয়্যা : ৭)।
প্রশ্ন : যাকে যেখানকার মাটি দ্বারা তৈরি করা হয়েছে, তাকে কি সে স্থানেই দাফন করা হবে?
উত্তর : হ্যাঁ। কেননা, আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, একবার নবীজি (সা.) জানাজার উদ্দেশে এক কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন। জিজ্ঞেস করলেন, ‘কবরটি কার?’ জবাব দেওয়া হলো, ‘অমুক হাবশি ব্যক্তির।’ নবীজি (সা.) বললেন, ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই, আল্লাহতায়ালা ব্যক্তিকে জমিন থেকে ওই জমিনের দিকেই নিয়ে যান, যেখান থেকে তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে।’ (শোয়াবুল ঈমান লিল বায়হাকি : ৯৪২৫)। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) সূত্রে বর্ণিত; এক হাবশিকে মদিনায় দাফন করা হয়, তখন নবীজি (সা.) বললেন, ‘প্রত্যেক ব্যক্তিকে ওই মাটিতেই দাফন করা হয়, যে মাটি দ্বারা তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে।’ (আল মুজামুল কাবির লিত তাবারানি : ১৪০২২)। অন্য হাদিসে এসেছে, ‘ব্যক্তি যখন মারা যায়, তখন তাকে সেখানেই দাফন করা হয়, যেখানের মাটি দ্বারা সে সৃজিত।’ (মাজমাউল ফাওয়ায়েদ : ৭৬৪১)। আরেক বর্ণনায় এসেছে, ‘প্রত্যেক মানুষকে ওই মাটিতেই দাফন করা হয়, যে মাটি থেকে তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে।’ (মুসান্নাফে আবদির রাজ্জাক : ৬৫৩১)। আর যাদের দাফন সমুদ্রে হয়, তাকে সমুদ্রতলের মাটি দিয়ে এবং যার দাফন পাহাড়ে, তাকে পাহাড়ের মাটি দিয়ে; আর যারা পুড়ে ছাই হয়ে যায়, তাদের ছাই যেখানে নিক্ষিপ্ত হয়, সেখানকার মাটি দিয়েই তাদের সৃষ্টি করা হয়েছে।