হাদিসে বর্ণিত বিশেষ পাঁচ দরুদ

শরিফ আহমাদ

প্রকাশ : ৩১ জুলাই ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর শানে দরুদ পাঠ করা গুরুত্বপূর্ণ আমল। এটি প্রত্যেক মুমিনের আত্মিক উন্নতি ও দুনিয়া-আখেরাতে সাফল্য লাভের স্বর্ণসিঁড়ি। স্বয়ং আল্লাহতায়ালা ও তাঁর সম্মানিত ফেরেশতারা নবীর প্রতি দরুদ পাঠান। কোরআনে দরুদ পাঠের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে- ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতারা নবীর প্রতি দরুদ পাঠ করেন। হে ঈমানদারগণ! তোমরাও নবীর প্রতি দরুদ ও সালাম পাঠ করো।’ (সুরা আহজাব : ৫৬)।

রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর নাম উচ্চারণ করলে বা শুনলে দরুদ পাঠ করতে হয়। জীবনে অন্তত একবার দরুদ পাঠ করা ফরজ। দরুদের আমল সর্বদা ও সর্বাবস্থায় করা যায়। এর জন্য নির্দিষ্ট সময় বা স্থানের কোনো শর্ত নেই। যত বেশি পাঠ করা হবে তত মঙ্গল। হাদিসে বর্ণিত ছোট বড় পাঁচটি দরুদ এখানে উল্লেখ করা হলো-

এক. কাব ইবনে উজরা (রা.) বলেন, ‘একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের মাঝে বেরিয়ে এলেন, তখন আমরা বললাম, আমরা আপনার প্রতি সালাম পেশের প্রক্রিয়া জানতে পেরেছি।

এখন আপনার প্রতি দরুদ কীভাবে পড়তে হবে? তখন তিনি বললেন, তোমরা বলবে- ‘আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিন ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদ, কামা সাল্লাইতা আলা ইবরাহিমা ওয়া আলা আলি ইবরাহিম, ইন্নাকা হামিদুম মাজিদ। আল্লাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মাদিন ওয়া আলা আলে মুহাম্মাদ, কামা বারক্তা আলা ইবরাহিমা ওয়া আলা আলি ইবরাহিম, ইন্নাকা হামিদুম মাজিদ।’ (বোখারি : ৩৩৭০)।

দুই. জায়েদ ইবনে খারিজা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে প্রশ্ন করলে তিনি বললেন, তোমরা আমার ওপর দরুদ পাঠ কর এবং বেশি বেশি দোয়া করো। আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিন ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদ।’ (নাসায়ি : ১২৯২)।

তিন. উকবা ইবনে আমের (রা.) বলেন, ‘তোমরা বলবে, আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিনিন নাবিইয়িল উম্মিইয়ি ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদিন।’ (আবু দাউদ : ৯৮১)।

চার. আবু সাইদ খুদরি (রা.) বলেন, নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে মুসলমানের কাছে সদকা করার মতো কিছু নেই, সে যেন দোয়া করার সময় বলে, ‘আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিন, আব্দিকা ওয়া রাসুলিকা, ওয়া সাল্লি আলাল মুমিনিনা ওয়াল মুমিনাতি, ওয়াল মুসলিমিনা ওয়াল মুসলিমাত।’ কেননা ওটা তার জাকাত স্বরূপ।’ (আল-আদাবুল মুফরাদ : ৬৪৪)।

পাঁচ. রুয়াইফি ইবনে সাবেত আনসারি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মুহাম্মাদের (সা.) ওপর দরুদ পড়বে এবং বলবে- ‘আল্লাহুম্মা আনজিলহুল মাক আদাল মুকার রাবা ইন্দাকা ইয়াওমাল কিয়ামাহ’- তার জন্য আমার সুপারিশ সুনিশ্চিত হয়ে যাবে।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ : ৯৩৬)।