পূর্বাচলে শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের দরপত্র বাতিল
প্রকাশ : ৩১ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক
পূর্বাচলে শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণের পরিকল্পনার কথা এক দশক ধরেই শোনা যাচ্ছিল। লম্বা সময় চলে গেলেও স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজ শুরু হবে হবে করে কয়েক দফায় পিছিয়েছে। সরকার পতনের পর আলোচনায় এই স্টেডিয়ামের ভাগ্য। শেষ পর্যন্ত স্টেডিয়াম নির্মাণের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বাতিল করা হয়েছে পূর্বাচল শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম ‘দ্য বোট’ এর দরপত্র। গত বৃহস্পতিবার বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের ১৩তম সভায় এই স্টেডিয়ামের দরপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি।
একই সঙ্গে বাদ হচ্ছে নকশা থেকে নৌকার প্রতিকৃতিও। বদলে যাচ্ছে নামও। ২০৩১ সালের আইসিসি বিশ্বকাপেরসহ আয়োজক বাংলাদেশ। সেই বিশ্বকাপকে সামনে রেখে শেখ হাসিনা স্টেডিয়াম তৈরির পদক্ষেপ নেয় সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের বোর্ড। তবে আওয়ামী লিগ সরকারের পতনের পর স্টেডিয়ামের অনেক কিছুই বদলে যাওয়াটা অনুমিতই ছিল। এ প্রসঙ্গে ফারুক বলেন, ‘শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের টেন্ডার নিশ্চিত করার বিষয়টি আজকেই (বৃহস্পতিবার) শেষ দিন ছিল। এত স্বল্প সময়ের মধ্যে কাজটি করা সম্ভব হচ্ছে না বলে স্থগিত করতে হয়েছে। আমরা দ্রুতই পূর্বাচলের স্টেডিয়ামের জায়গাটি পরিদর্শনে যাব। দেখবো যে সেখানে মাঠ ব্যবহার করা যায় কি না।’
স্টেডিয়ামের নকশায় নৌকা থাকছে কি-না জানতে চাইলে বলেন, ‘কী পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়েছে জানি না। সব মিলিয়ে আগামীকাল শনিবার আমরা এই মাঠ দেখতে যাচ্ছি, চেষ্টা করছি টাকাটা... যতটুকু টাকা খরচ হয়েছে, আমরা চেষ্টা করছি (ক্ষতি কমিয়ে আনতে)। পুরোটা তো পরিপূর্ণ হবে না। তারপরও ওখান থেকে যদি কিছুটা রিকভারি করতে পারি। চেষ্টা করবো খেলা চালানোর মতো দুটি মাঠ বানানো যায় কিনা।’ তৎকালীন সরকারের কাছ থেকে পূর্বাচলে নামমাত্র মূল্যে সাড়ে ৩৭ একর জমি পেয়েছিল সাবেক সভাপতি পাপনের বোর্ড। সেখানে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের পূর্ণাঙ্গ ক্রিকেট কমপ্লেক্স তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছিল। স্টেডিয়ামের পাশাপাশি দুটি মাঠও নির্মাণের কথা ছিল সেখানে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন উঠে বিসিবিতে ইতোপূর্বে সংঘটিত দুর্নীতির কাগজপত্রে প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজনের স্বাক্ষর নিয়ে। এ বিষয়ে বিসিবির নতুন সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেন, ‘আমাদের সিইও (প্রধান নির্বাহী) অনেক যোগ্য। তিনি ১২ বছর ধরে সিইও। অনেক অভিজ্ঞ। এখানেও যদি কিছু পাওয়া যায় (অনিয়ম), তদন্ত না করে বলার অনুরোধ করছি। তদন্ত করে যদি কিছু পাওয়া যায়, তাকেও (প্রধান নির্বাহীকে) ছাড় দেয়া হবে না।’
তবে দুর্নীতির কথাও স্বীকার করে নেন বর্তমান সভাপতি ফারুক আহমেদ, ‘একজন মানুষ দোষী সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত তিনি দোষী নন। অফিসে সিইও হিসেবে কাগজে সই করতে হবে, একটা নরমাল প্র্যাক্টিস। এই অবকাঠামোগত জিনিসে ঝুঁকে পড়েছে (বিসিবি) এনএসসিকে বাইপাস করে, এটা খুব বেশি নেই। তবে কিছু দুর্নীতি তো হয়েছেই। এটা অস্বীকার করতে পারবো না।’