বাংলাদেশ সফরের আগে এর আগে যা করেনি, এবার তাই করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। নিরাপত্তাব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে প্রথমবারের মতো নিরাপত্তা প্রতিনিধি দল পাঠায় তারা। সম্প্রতি ছাত্র-জনতার বিপ্লবে দেশে রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের আগে অস্থির হয়ে উঠেছিল পুরো দেশ। তার প্ররিপ্রেক্ষিতে এই ব্যবস্থা নিয়েছে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা। একই কারণে সরে গেছে নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। স্থগিত হয়ে গেছে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের সফরও। শঙ্কা ছিল ঘরের মাঠের দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ নিয়ে। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত সময়েই হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ। গতকাল সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রোটিয়াদের সফরের কথা নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সিরিজের সূচিও ঘোষণা করা হয়েছে। ৯ বছর পর প্রোটিয়ারা আসছে বাংলাদেশ সফরে। এই সিরিজে কেবল টেস্টই খেলবে দুই দল। বাংলাদেশের নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় সূচি ঘোষণার আগে দক্ষিণ আফ্রিকার একটি নিরাপত্তা প্রতিনিধি দল কয়েকদিন আগে এসেছিল বাংলাদেশ সফরে। দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের (সিএসএ) বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশে সরেজমিন পরিদর্শন সফরের পর প্রতিনিধি দলের সুপারিশের ভিত্তিতে সিএসএ সিরিজটিকে সবুজ সংকেত দিয়েছে।’ আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ এই সিরিজে প্রথম টেস্ট ২১ অক্টোবর থেকে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে শুরু হবে। এ বছর মিরপুরে প্রথম টেস্ট এটিই। গত মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দুটি টেস্ট হয়েছিল সিলেট ও চট্টগ্রামে। ২৯ অক্টোবর থেকে চট্টগ্রামে শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট। এই সফরে কোনো প্রস্তুতি ম্যাচ নেই দক্ষিণ আফ্রিকার। আইসিসি ভবিষ্যৎ সফর সূচির অংশ এই সিরিজে অন্য সংস্করণের খেলাও নেই। সবশেষ ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সফরে এসেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেবার খেলা ছিল তিন সংস্করণেই। দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দুটি ম্যাচই জিতেছিল প্রোটিয়ারা।