ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট পতন হয়েছে আওয়ামী লিগ সরকারের। তারপরই গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। দায়িত্ব গ্রহণের পরেই দেশ সংস্কারে মনোযোগী হয় তারা। বিভিন্ন বিভাগে সংস্কারের জন্য এর মধ্যেই উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ক্রীড়াঙ্গন সংস্কার নিয়েও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় অধিকাংশ ক্রীড়া ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনের শীর্ষ পদে পরিবর্তন এসেছে। এবার শূন্য হল বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) সভাপতি পদ। বিওএ সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা বরাবর চিঠি দিয়ে সভাপতির পদ ছেড়েছেন এই কর্মকর্তা। গতকাল বুৃধবার সকালে সভাপতির পদত্যাগ পত্র পেয়েছে অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন। তবে সেই চিঠিতে পদত্যাগের তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে ১৫ সেপ্টেম্বর। এ বিষয়ে বিওএর মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ সামছুল আলম খান পদত্যাগের বিষয়ে বলেছেন, ‘সভাপতি মহোদয়ের পদত্যাগপত্র গতকাল বুধবার সকালে আমরা পেয়েছি। এখন আমরা পরবর্তী ধাপে যাব। দ্রুত আমরা নির্বাহী কমিটির সভা ডাকবো। সেখানে তা গৃহীত হলে তখন নতুন করে নির্বাচনের পথ প্রশস্ত হবে। আশা করছি, সবকিছু করতে দুই থেকে তিন সপ্তাহ সময় লাগবে। আমরা এরই মধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছি।’ উল্লেখ্য, শফিউদ্দিন আহমেদ দেশের ১৭তম সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নিয়েছিলেন ২০২১ সালের ২৪ জুন। একই বছরের ২২ ডিসেম্বর অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির দায়িত্ব নেন তিনি। চলতি বছরের ২৩ জুন অবসরে যান তিনি। তবে বিওএ’র নির্বাচিত সভাপতি হিসাবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কারণ অলিম্পিকের নিয়ম অনুযায়ী পদত্যাগ না করলে মেয়াদপূর্তি পর্যন্ত সভাপতি পদে বহাল থাকবেন। ১৯৯৬ সালে বিওএ’র সভাপতি পদে দায়িত্ব পাওয়া লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবের পর আর কেউ নির্ধারিত মেয়াদ শেষ করতে পারেননি। ফুটবল ও ক্রিকেট ছাড়াও দেশের অন্যতম শীর্ষ ক্রীড়া সংগঠন বিওএ-তে সভাপতি পদটি নির্বাচিত। এ পদে সেনাপ্রধানরাই দায়িত্ব পালন করে থাকেন। বিওএ নির্বাহী কমিটির মেয়াদ ৪ বছর। বর্তমান কমিটির মেয়াদ আরো ১ বছরের বেশি রয়েছে।