দেশের কেউ প্রধান কোচ হওয়ার মতো যোগ্য নন

তামিম ইকবাল

প্রকাশ : ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া ডেস্ক

বাংলাদেশের প্রধান কোচ হিসেবে পূর্ণ মেয়াদে যারা কাজ করেছেন সবাই ছিলেন বিদেশি। জাতীয় দলের পুরো কোচিং স্টাফই বিদেশিদের দিয়ে পরিপূর্ণ থাকে বেশিরভাগ সময়। কালেভদ্রে দেশিদের সুযোগ মিললেও তা মেলে ১-২ সিরিজের জন্য, পূর্ণ মেয়াদে নয়। বর্তমানেও বাংলাদেশ জাতীয় দলের পুরো কোচিং স্টাফ বিদেশি দিয়ে পরিপূর্ণ।

তবে এই জায়গায় পরিবর্তন এনে স্থানীয় কাউকে দায়িত্ব দেয়া উচিত কি না, এমন প্রশ্ন উঠেছে অনেক আগেই। তবে এমন চিন্তায় সায় নেই এখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরে না যাওয়া তামিম ইকবাল। সাবেক এই অধিনায়ক মনে করেন দেশের কেউ প্রধান কোচ হওয়ার মতো যোগ্য নন। বাংলাদেশ-ভারত সিরিজে ধারাভাষ্য দিতে ভারতে আছেন তামিম। ভারতের ক্রীড়া সাময়িকী ‘স্পোর্টস্টার’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তামিম বলেন, জাতীয় দলের কোচিং স্টাফে দেশিও কোচ রাখা যেতে পারে সহকারী ভূমিকায়। ভারত বেশ অনেকদিন ধরেই জাতীয় দলের প্রধান কোচের ভূমিকায় স্থানীয়দের দায়িত্বে রাখছে। রাহুল দ্রাবিড়ের পর ভারতের প্রধান কোচ হয়েছেন গৌতম গম্ভীর।

সম্প্রতি শ্রীলঙ্কা সাবেক অধিনায়ক সনাৎ জয়াসুরিয়াকে প্রধান কোচ করেছে। এই প্রসঙ্গেই তামিমের কাছে বাংলাদেশও একই পথে হাঁটতে পারে কি না, জানতে চাওয়া হয়েছিল। জবাবে তামিম দেন স্পষ্ট জবাব, তুলে ধরেন বাস্তবতা, ‘বর্তমানে বাংলাদেশের কেউ জাতীয় দলের প্রধান কোচ হওয়ার মতো যোগ্য বলে আমি বিশ্বাস করি না। এই মুহূর্তে দুই তিনজন আছেন আরা সহকারী কোচ হতে পারেন।

কিন্তু আমি বিশ্বাস করি না তারা কেউ জাতীয় দলের প্রধান কোচ হওয়ার মতো।’ এরপর তামিম দেখিয়েছিলেন কীভাবে দেশীয় কোচদের উপযুক্ত করে গড়ে তোলা যায়, ‘বাংলাদেশের কোচিং স্টাফে ৭০:৩০ অনুপাত থাকা উচিত। প্রধান কোচ হিসেবে একজন বিদেশি এবং তার সঙ্গে আরও দুই-তিনজন বিদেশি থাকতে পারেন। বাকি ৭০ শতাংস সহকারী কোচের পদে দেশিদের থাকা উচিত। অ্যাপ্রোচ হওয়া উচিত স্থানীয় কোচরা যাতে শিখতে পারেন।’ বর্তমানে জাতীয় দলের প্রধান কোচ হিসেবে আছেন শ্রীলঙ্কান চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে। তার সঙ্গে আগামী চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত চুক্তি বিসিবির। তবে দেশে রাজনৈতিক ক্ষমতার পালাবদলের পর বদলে যাওয়া দৃশ্যপটে ততদিন তিনি থাকবেন কিনা নিশ্চিত না। হাথুরুসিংহেকে নিয়োগ দিয়েছিলেন সাবেক বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। ক্ষমতার পট-পরিবর্তনে বিসিবির সভাপতি এখন ফারুক আহমেদ। যিনি আবার হাথুরুসিংহের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন নানা সময়ে। দায়িত্ব নেয়ার পরও হাথুরুসিংহেকে কোচ না রাখার আভাস দেন। তবে পাকিস্তানে গিয়ে বাংলাদেশ ২-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জিতে আসায় কোচের পদে বদল আনার পরিস্থিতি পাননি। ভারত সিরিজের পর তার অবস্থান কি হয় দেখার বিষয়। বাংলাদেশের ইতিহাসের সফলতম কোচ হাথুরুসিংহেকে সরিয়ে স্থানীয় কাউকে দায়িত্বে দেয়ার আলোচনা আছে বিভিন্ন মহলে। এর আগে বিভিন্ন সময় আপদকালীন কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন খালেদ মাহমুদ সুজন। তাছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেটে পরীক্ষিত কোচ সালাহউদ্দিনকেও অনেকে জাতীয় দলের কোচ করার পক্ষে। এর বাইরেও অনেকেই লম্বা সময় ধরে খণ্ডকালিন ভূমিকায় জাতীয় দলকে সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছেন। এমন অবস্থায় তামিম করলেন এই মন্তব্য।