‘২০০-২২০ রান হলে ভালো হতো’
প্রকাশ : ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

মিরপুরে একদিনে ১৭ উইকেট পড়ার ঘটনাও আছে। ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ের ম্যাচে সেই কাণ্ড হয়েছিল। তবে এবার টেস্টের প্রথম দিন মিরপুরে ১৬ উইকেট পড়ার রেকর্ড হলো। সেই রেকর্ডের কারণে ম্যাচে এখনও টিকে আছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকা ৬ উইকেট নিতে ব্যর্থ হলে স্বাগতিকরা লড়াইয়ে থাকতো না। ১০৬ রানে প্রথম ইনিংস গুটিয়ে যাওয়ায় একটি সুযোগও মিস হয়েছে বাংলাদেশের।
১৪০-এ প্রোটিয়াদের ৬ উইকেট তুলে নিলেও ম্যাচে স্পষ্ট এগিয়ে থাকার স্বস্তি নেই বাংলাদেশ দলে। গতকাল সোমবার প্রথম দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে তাইজুল ইসলাম জানিয়ে গেলেন রান আর ১০০ বেশি হলে ভালো হতো। ব্যাটিং ব্যর্থতা মেনে নিয়ে এ স্পিনার জানিয়েছেন, ‘আমাদের রানটা যদি ২০০-২২০ হতো তাহলে এই ম্যাচে কিন্তু আমরা এগিয়েই থাকতাম। এখন কমতির দিকে তাকিয়ে তো লাভ নেই। দ্বিতীয় ইনিংস আছে ব্যাটাররা ওখানে ভালো করবে আশা রাখি।’
এখন তাইজুলদের সামনে একটাই সুযোগ। আর সেদিকেই তাকিয়ে এ স্পিনার, ‘ওদের কাল যত দ্রুত পারি আউট করার চেষ্টা করব। এরই মধ্যে তারা একটু লিড নিয়েছে কিন্তু এখনও আমরা ম্যাচ থেকে একেবারে ছিটকে যাইনি। সুযোগ আছে , ওদের দ্রুত অলআউট করলে ম্যাচে ভালো অবস্থানে থাকবো।’ বাংলাদেশ ব্যাটারদের ব্যর্থতার কারণ উইকেট, না ভারত সিরিজে না পারার ভয়? তাইজুল বলেছেন, ‘ভয়ের কিছু না। উইকেটের ব্যাপারটা হলো আপনি যেখানেই খেলতে যান তারা কিন্তু নিজেদের হোম অ্যাডভান্টেজ নিবে। এটাই স্বাভাবিক। ব্যাপারটা হলো ভালো খেলা। আমরা আজকে ভালো খেলতে পারিনি।’
সংবাদ সম্মেলনে কথা উঠল সাকিব আল হাসান প্রসঙ্গেও। ক্যারিয়ারের প্রায় পুরোটা সাকিবের ছায়া হয়েছিলেন তাইজুল। দলের সমন্বয়ের কারণে দেশের বাইরে অনেক সময় একাদশে সুযোগ মেলেনি তার। এবার সাকিব আর না থাকার সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় তার সামনে টানা খেলার সুযোগ। তবে সাকিব থাকা, না থাকা প্রসঙ্গে কিছুটা বিরক্তই ঝরল তার কণ্ঠে।
‘প্রথম প্রশ্ন হচ্ছে আপনার সাকিব ভাই নাই তাই তো। সাকিব ভাই নাই, সাকিব ভাই ছাড়া যে আমি খেলি নাই তা তো না। আমি থাকা পর্যন্ত অনেক ম্যাচ সাকিব ভাই ছাড়া খেলছি। আমরা নিউজিল্যান্ডে টেস্ট জিতছি, সাকিব ভাই ছিল না, আমরা যখন নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে এখানে ম্যাচ জিতছি; সাকিব ভাই ছিল না। এরকম অনেক উদাহরণ আছে। আসলে আপনি তো একটা খেলোয়াড়কে ৫০ বছর খেলাতে পারবেন না।’
মিরপুরে এই টেস্ট দিয়েই সাদা পোশাকের ক্যারিয়ারে ইতি টানতে চেয়েছিলেন সাকিব। কিন্তু রাজনৈতিক বিরূপ পরিস্থিতিতে দেশে ফিরতে পারেননি তিনি। সাকিবের আনুষ্ঠানিক বিদায় তাই আর নেয়া হচ্ছে না। সাকিবের সমাপ্তি স্বাভাবিকভাবে মেনে নিয়েই তাইজুলের জবাব, ‘কখনো একজন আসবে, একজন যাবে। ১০ বছর, ১৫ বছর, খুব বেশি হলে ২০ বছর; এটা আমাদের মেনে নিতেই হবে। আসলে কোনো সন্দেহ নেই উনি অনেক ভালো খেলোয়াড় ছিল।
