প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক কম্বোডিয়ার কাছে হারলেও ফিলিপাইনের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের গ্রুপ পর্বে তৃতীয় ম্যাচেও জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে লাল সবুজের কিশোররা। গতকাল শুক্রবার কম্বোডিয়ার নমপেনে অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ম্যাকাওকে ৭-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে সাইফুল বারী টিটুর শিষ্যরা। অধিনায়ক নাজমুল হুদা ফয়সাল হ্যাটট্রিকসহ চার গোল করেছেন।
এদিন ম্যাচের শুরু তেকেই দাপট দেখালেও গোলের অপেক্ষা বাড়ছিল বাংলাদেশের। প্রথম গোল পেতে ৪০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। সতীর্থের পাস ধরে বক্সে ঢুকে তিন ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে আগুয়ান গোলকিপারের পাশ দিয়ে ডান পায়ের টোকায় জালে জড়িয়ে দেন ফয়সাল। এরপর ফয়সাল আরো সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু গোল করতে পারেননি।
বিরতির পর বাংলাদেশের আক্রমণে সাফল্যের ফুলঝুরি। গোল এসেছে ৬টি। ৬৫ মিনিটে আরহাম ইসলাম বক্সে ঢুকে গোলকিপারের বরাবর শট নিয়ে হতাশ করন। একটু পরই মধ্যমাঠ থেকে থ্রু পেয়ে বদলি মোহাম্মদ মানিক বক্সের প্রান্ত থেকে তেকাঠি ছেড়ে আসা গোলকিপারের অনেক ওপর দিয়ে মাপা শটে ব্যবধান বাড়িয়ে উৎসবে আরো রং দেন। ৭০ মিনিটে বাংলাদেশের স্কোরলাইন ৩-০ হয়। বাঁ প্রান্তের ক্রসে রিফাত কাজী কোনাকুনি শটে গোলকিপারকে পরাস্ত করেন। বল গোলকিপারের শরীরে লেগে গোললাইন অতিক্রম করে।
তিন মিনিট পর ৪-০ গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। মোহাম্মদ মানিকের ক্রসে ডিফেন্ডার তাং তিন ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেই জড়িয়ে দেন জালে। শেষ দিকে এসে অধিনায়ক আবারো জ্বলে উঠেন। ৭৪ মিনিটে ফয়সাল নিজেই দলকে পঞ্চম গোল উপহার দেন। ৮১ মিনিটে তার হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন। সতীর্থের পাসে বক্সের বেতরে ফাঁকায় প্লেসিং করে দেন। তাতে ৬-০ গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। দুই মিনিট পর ফয়সাল নিজের চতুর্থ ও দলের হয়ে সপ্তম গোল করে ম্যাকাওর কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন।
এই জয়ে মূল পর্বে খেলার আশা বেঁচে রইল বাংলাদেশের। ৩ ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের পয়েন্ট ৬। ২ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট পেয়েছে কম্বোডিয়া ও আফগানিস্তান। নিজেদের শেষ ম্যাচে শক্তিশালী আফগানদের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচ জিতলে বা ড্র করলে সুযোগ তৈরি হতে পারে ফয়সালদের। ম্যাকাওকে উড়িয়ে আফগানদের বার্তাও দিয়ে রাখল তারা। বাছাইপর্বের দশটি গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ও সেরা পাঁচ রানার্সআপ চূড়ান্ত পর্বে খেলবে আগামী বছর।