ঢাকা ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

‘পুরোপুরি তৈরি’ তাইজুল

‘পুরোপুরি তৈরি’ তাইজুল

সবশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর তিন ফরম্যাটে নেতৃত্ব দেয়া হয় নাজমুল হোসেন শান্তকে। তখন তিনি বলেছিলেন লম্বা সময়ের জন্য দায়িত্ব নিতে চান। ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত সময় দেয়া হয় তাকে। সেই টুর্নামেন্টের চার মাস আগে নিজেই সরে দাঁড়াতে চাইছেন শান্ত? নেতৃত্ব এমনিতেই চাপের। বাংলাদেশের ক্রিকেটে সেটা আরো বেশি। সেই চাপে চিড়ে চ্যাপ্টা হয়ে ব্যাটিংয়ে ছন্দ হারিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। দলও রয়েছে ব্যর্থতার বৃত্তে। ‘অধিনায়ক কোটায় দলে খেলছেন’-এমন অপবাদ পর্যন্ত শুনতে হচ্ছে তাকে। এ জন্যই নির্ভার হতে অধিনায়কত্ব ছাড়ার আলোচনায় শান্ত। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের পরই অধিনায়কত্ব ছাড়ার কথা এরই মধ্যে বিসিবিকে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। শান্তর বদলে নতুন দায়িত্বে কে আসবেন- সেসব নিয়েই এখন আলোচনা চলছে। এই আলোচনা আরো জমিয়ে দিলেন তাইজুল ইসলাম। চট্টগ্রাম টেস্টের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে এই স্পিনার জানালেন তিনি অধিনায়কত্বের জন্য পুরোপুরি তৈরি!

আজ থেকে শুরু হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। টেস্টের আগের দিন সাধারণত অধিনায়কই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকেন। বিশেষ কোনো নিয়ম না থাকলেও এটাই সাধারণ রীতি। সম্ভবত অধিনায়কত্বের ইস্যু সামনে থাকায় এদিন সংবাদ সম্মেলন এড়িয়ে গেছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। গতকাল সোমবার সংবাদ সম্মেলনে যোগ দেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। স্বাভাবিক ভাবেই তাইজুলের সংবাদ সম্মেলন হয়ে উঠলো শান্তময়। গতকাল সোমবার সংবাদ সম্মেলনে শান্তকে নিয়ে অনেক প্রশ্নের ভিড়ে তাইজুলের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তিনি অধিনায়কত্বের জন্য প্রস্তুত কী না। জবাবে তিনি বলেছেন, ‘যেহেতু ১০ বছর ধরে খেলছি, আমি পুরোপুরি প্রস্তুত।’

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চলতি সিরিজেরই পর বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক থাকতে চান না শান্ত, বিসিবির ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে তিনি তার এমন চিন্তার কথা জানিয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। যদিও বিসিবি বলছে, এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোন চিঠি পায়নি তারা। মিরপুর টেস্টের আগে সাকিব আল হাসানের ফেরা, না ফেরার আলোচনা কেড়ে নিয়েছিলো মূল ফোকাস। চট্টগ্রাম টেস্টের আগেও দলের কৌশলের চেয়ে আলাপ বেশি হচ্ছে শান্তকে। সত্যিই কি শান্ত অধিনায়কত্ব ছাড়তে চান? সেই উত্তর জানতে তাকে সরাসরি প্রশ্নের সুযোগ হচ্ছে না। কারণ অধিনায়ক এসব প্রশ্ন এড়াতেই উপস্থিত হননি সংবাদ সম্মেলনে। তাইজুল জানালেন তাদের এমন কিছু জানা নেই, ‘আসলে এ বিষয়ে আমি কিছু শুনি নাই। এটা আমার পার্টও নাই। এই বিষয়ে আমি সঠিকটা জানি না।’ তাইজুল না করলেও বারবার তার কাছে গেলে একই প্রসঙ্গ। তাইজুলও বুঝিয়ে বললেন তার দৌড় কতটুকু, ‘এটা আসলে অনেক গভীর একটা প্রশ্ন। এটার উত্তর আসলে আমার কাছে নেই, এটাই সত্যি। কারণ আমি যখন একটা ম্যানেজম্যান্ট মিটিং হয় বা বোর্ডের যখন মিটিং হয়, আমি বা খেলোয়াড়রা কিন্তু জড়িত থাকে না। ক্যাপ্টেন কে হচ্ছে, কোচ কে হচ্ছে, এটা আমাদের পার্ট না। টিম ম্যানেজমেন্টের অংশ না এমন কাউকে কেন ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে পাঠাতে হয় এই প্রশ্ন কাকে করা যাবে বোঝা দুষ্কর।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত