দুই বছরের চুক্তিতে পাকিস্তানের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব নিয়েছিলেন গ্যারি কার্স্টেন। কিন্তু যে প্রত্যাশা নিয়ে তিনি দায়িত্ব নিয়েছিলেন তা পুরণ হয়নি। পিসিবির কার্যকলাপে খুশি ছিলেন না দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক এই ব্যাটার। ফলে মাত্র ৬ মাসেই শেষ হলো কার্স্টেনের পাকিস্তান-অধ্যায়। পাকিস্তানের সাদা বলের কোচের পদ ছাড়লেন তিনি। কয়েক দিন আগেই নিজের সিদ্ধান্ত পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। কার্স্টেনের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছে পিসিবি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হতে মাত্র সপ্তাহখানেক বাকি। গুরুত্বপূর্ণ এই সিরিজের আগেই সাদা বলের কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন কারস্টেন। ক্রিকইনফোর খবর, এরই মধ্যে পাকিস্তানের কোচের পদ ছেড়েছেন কারস্টেন, অস্ট্রেলিয়া সিরিজে তাকে দেখা যাবে না পাকিস্তান দলের সঙ্গে। গত এপ্রিলে পাকিস্তানের দায়িত্ব পেয়েছিলেন কারস্টেন। তার প্রথম মিশন যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাজে সময় পার করেছিল বাবর আজমরা। স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয়। প্রথম অভিযান ব্যর্থ হলেও কারস্টেনের ওপর আস্থা রেখেছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। কিন্তু ৬ মাসেই শেষ হলো দুই পক্ষের সম্পর্ক। ক্রিকইনফোর জানিয়েছে, শিগগিরই কারস্টেনের বিদায়ের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসছে। পেয়েছিলেন টি-টেয়েন্টি ও ওয়ানডে ক্রিকেটের দায়িত্ব। কিন্তু ওয়ানডের কোনো ম্যাচ কারস্টেনের অধীনে খেলেনি পাকিস্তান। ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো এই কোচের এত দ্রুত বিদায়ের কারণ হিসেবে ক্রিইকনফো জানতে পেরেছে, এটির নেপথ্যে কোচদের দ্বন্দ্ব। পাকিস্তান টেস্ট দলের কোচ জেসন গিলেস্পির সঙ্গে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে কারস্টেনের। যেকারণে পিসিবি তাদের দল নির্বাচনের ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে নির্বাচক কমিটির হাতে পূর্ণ কর্তৃত্ব তুলে দিয়েছে।
দল নির্বাচনে ক্ষমতা হারানোর ইঙ্গিত সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেনও গিলেস্পি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট শুরুর আগে সাবেক অস্ট্রেলিয়ান পেসার জানিয়েছিলেন, তিনি এখন শুধুমাত্র ম্যাচণ্ডডে বিশ্লেষক। তবে কারস্টেন এ ব্যাপারে গণমাধ্যমে কোনো মন্তব্য করেননি।