এবারের ব্যালন ডি’অর ভিনিসিয়ুস জুনিয়র পেতে চলেছেন তা ধরেই নিয়েছিলেন অধিকাংশ ফুটবল সমর্থক। তবে গতকাল সন্ধ্যার পর থেকেই বদলে যায় দৃশ্যপট। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম চাউর হয়- এবার এ পুরস্কার পাচ্ছেন না ভিনিসিয়ুস। শেষ পর্যন্ত সেটাই সত্যি হয়েছে। ফুটবলের ব্যক্তিগত অর্জনের সর্বোচ্চ এ পুরস্কার ওঠেছে রদ্রির হাতে। এদিকে ভিনিসিয়ুস ব্যালন ডি’অর পাবেন না জন্য রিয়াল মাদ্রিদের কেউই এ অনুষ্ঠানে যোগ দেননি। ভিনিসিয়ুসের ব্যালন ডি’অর না পাওয়াটা ঠিক মেনে নেয়নি রিয়াল। ভিনি ছাড়াও এ পুরস্কার পাওয়ার তালিকায় আরো ছিলেন রিয়ালের জুড বেলিংহাম ও দানি কার্ভাহালও। বেলিংহাম জাতীয় দলের হয়ে শিরোপা না জিতলেও কার্ভাহাল রিয়ালের হয়ে শিরোপা জয়ের পাশাপাশি স্পেনের হয়ে ইউরো জিতেছেন। রিয়ালের পনেরতম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের পথে রক্ষণে পুরো মৌসুমজুড়ে গুরুদায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ব্যালন ডি’অর না পাওয়ায় তা নিয়ে হতাশ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ভিনিসিয়ুস নিজে। এক্সে দেয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘এটা (ব্যালন ডি’অর) জিততে পরবর্তীতে এর চেয়ে ১০ গুণ ভালো করবো আমি। তারা এর জন্য একদমই প্রস্তুত নয়।’ এদিকে ভিনি ব্যালন ডি’অর না জেতায় তার সাবেক ও বর্তমান সতীর্থরাও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। লস ব্লাঙ্কোসদের বর্তমান ফুটবলার এদুয়ার্দো ক্যামাভিঙ্গা কোনো রাখঢাক ছাড়াই জানিয়েছেন যে ভিনি আসলে ফুটবল রাজনীতির শিকার। তিনি এক্সে দেয়া এক পোস্টে লিখেন, ‘ভাই আমার, তুমি বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় এবং কোনো পুরস্কারই অন্য কিছু বলতে পারে না। ভাই, তোমাকে ভালোবাসি।’ এদিকে গত মৌসুম শেষে ফুটবলকে বিদায় জানানো ক্রুস ভিনিকেই সেরা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। তিনি ভিনির সঙ্গে ইন্সটাগ্রামে একটি ছবি দিয়ে লিখেন, ‘দ্য বেস্ট।’ সাবেক সতীর্থ করিম বেনজেমাও ভিনিকে শক্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন, ইন্সটাগ্রাম স্টোরিতে একটি ছবি দিয়ে বেনজেমা লিখেন, ‘ট্রপ ফোর্ট’ যার অর্থ শক্ত থাকো। ভিনির আরেক বর্তমান সটির্থ ফেদে ভালভার্দে লিখেছেন, ‘এমন কোনো পুরস্কার নেই যা তোমাকে স্বীকৃতি দিতে পারে। আমি শুধু ফুটবলার হিসেবে তোমার কৃতিত্ব নিয়ে কথা বলছি না, মাঠের বাইরেও তুমি অসাধারণ। আমি তোমাকে ভালোবাসি ভাই।’