বসুন্ধরা কিংসকে হারিয়ে মোহামেডানের প্রতিশোধ

প্রকাশ : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

ছাত্র জনতার বিপ্লবে বদলে গেছে পুরো বাংলাদেশের চিত্র। ক্ষমতার পালাবদল হয়েছে। রাষ্ট্রের গুরুত্বপুর্ণ প্রায় সব বিভাগে পরিবর্তন এসেছে। পাল্টে গেছে ক্রীড়াঙ্গনও। তারই ধারাবাহিকতায় নতুন এক টুর্নামেন্ট দিয়ে এবার ঘরোয়া ফুটবলের মৌসুম শুরু হয়েছে। ‘বাংলাদেশ ২.০ চ্যালেঞ্জ কাপ’ নামের এক ম্যাচের সে টুর্নামেন্টে মুখোমুখি হয়েছিল বসুন্ধরা কিংস ও মোহামেডান। ম্যাচে এগিয়ে গিয়েও হেরেছে সাদা কালো দল। দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের ব্যবধানে সে হারের বদলা নিয়েছে মোহামেডান। প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে কিংসকে ১-০ গোলে হারিয়ে প্রতিশোধ নিল সাদা কালোরা।

গতকাল শুক্রবার কুমিল্লার ভাষাসৈনিক ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে মোহামেডানের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন অধিনায়ক সুলেমান দিয়াবাতে। এই জয়ে দুই ম্যাচে ছয় পয়েণ্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে রয়েছে মোহামেডান। তিন পয়েন্ট নিয়ে তিনে নেমে গেছে কিংস। লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কিংস দ্বিতীয় রাউন্ডেই হোঁচট খেল। ৭০ মিনিটেরও বেশি সময় দশ জন নিয়ে খেলে জিতেছে মোহামেডান। ছুটির দিনে বাংলাদেশের ক্লাব ফুটবলের দুই জায়ান্ট দলের খেলা দেখতে স্টেডিয়ামে হাজির হয়েছিলেন অনেক দর্শক। মোহামেডানের গোলের পর গ্যালারিতে উৎসব হয়। প্রথম গোলের মিনিট পনেরোর মধ্যে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ নষ্ট করেন সুলেমান। তার নেয়া পেনাল্টি শট কিংসের গোলকিপার মেহেদী হাসান শ্রাবণ রুখে দেন। ম্যাচের ৫৮ মিনিটে দ্রুতগতির আক্রমণে মালির ফুটবলার সুলেমান বক্সের সামনে বল পান। ডিফেন্ডার ও গোলকিপার শ্রাবনকে কোনো সুযোগ না দিয়ে কোনাকুনি জোরালো শটে বল জালে জড়ান। যদিও ম্যাচের মাত্র ২৫ মিনিটের মধ্যে দশজনের দলে পরিণত হয়েছিল মোহামেডান। উড়ে আসা এক বলে কিংসের ফরোয়ার্ড রাকিব হোসেন বলের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার আগেই সাদা কালোদের গোলকিপার সুজন হোসেন এগিয়ে আসেন। দুই জনই ব্যথা পেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। কিন্তু রেফারি সাইমুম সানি সহকারী রেফারির সঙ্গে আলোচনা করে মোহামেডানের গোলকিপারকে সরাসরি লালকার্ড দেখান। ফরোয়ার্ড পজিশনের আরিফকে উঠিয়ে দ্বিতীয় গোলকিপার সাকিবকে নামান কোচ আলফাজ আহমেদ। কিংস কাগজে কলমে সাদা কালোদের চেয়ে ভালো দল। সেই কিংস দশজনের মোহামেডানকে হারাতে পারেনি। সুজন বেরিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর অবশ্য কিংসের মূল অস্ত্র রাকিব হোসেনও ব্যথা পেয়ে মাঠ ছাড়েন। কুমিল্লা স্টেডিয়ামের মাঠ এখনো ফুটবল উপযোগী নয়। ফলে ফুটবলাররা আহত হয়েছে মাঝে মধ্যে খেলায় বিরতি পড়েছে বারবার। রেফারি কার্ডও দেখিয়েছেন বেশ কিছু। তা ছাড়া কুমিল্লাতেও গ্যালারিতে দুই দলের সমর্থকদের রং ছুড়তেও দেখা গেছে। ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে দিনের অন্য ম্যাচে রহমতগঞ্জ ২-০ গোলে হারিয়েছে চট্টগ্রাম আবাহনীকে। দুটি গোলই করেছেন নাবীব নেওয়াজ জীবন। এই মৌসুমে লিগে দল গড়তে হিমশিম খাওয়া ঢাকা আবাহনী থেকে পুরানো ঢাকার ক্লাবে চলে আসেন জীবন। টানা দুই ম্যাচ জিতে ছয় পয়েন্ট নিয়ে গোল গড়ে টেবিলের দ্বিতীয়স্থানে রহমতগঞ্জ। দুই ম্যাচেই হেরে টেবিলের তলানীতে চট্টগ্রাম আবাহনী।