বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে প্রায় হারিয়েই যেতে বসেছিলেন অমিত সম্ভাবনার সাব্বির রহমান। একেবারে হারিয়ে না গেলেও, মনে রাখার মতো কিছু করতেও পারেননি। ঘরোয়া ক্রিকেটেই দল পাচ্ছিলেন না। ভাগ্য সুপ্রসন্ন সাব্বিরের, খালেদ মাহমুদ সুজন তাকে টেনে নেন ঢাকা ক্যাপিটালসে। তবে আসরের প্রথম তিন ম্যাচে একাদশে জায়গা হয়নি সাব্বিরের। ঢাকার প্রধান কোচ খালেদ মাহমুদ জানিয়েছিলেন, অনুশীলনে অনুপস্থিত থাকার কারণেই জায়গা হয়নি। চতুর্থ ম্যাচ দিয়ে একাদশে জায়গা করে নেয়ার পর পঞ্চম ম্যাচে এসেই নিজের দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন সাব্বির। মাত্র ৩৩ বলে ৯ ছক্কা ও ৩ চারের বিধ্বংসী ইনিংসে ঢাকা ক্যাপিটালসকে ভালো সংগ্রহ এনে দিয়েছেন সাব্বির। এমন ইনিংস খেলেও মনের ভেতরে অসন্তুষ্টি। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সেটিই ফুটে উঠল সাব্বির রহমানের কণ্ঠে। শৃঙ্খলাভঙ্গের ঘটনা প্রকাশ করে দেয়ায় কোচ খালেদ মাহমুদের দিকে তির ছুড়লেন ঢাকা ক্যাপিটালসের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। বিপিএলে দারুণ এক ইনিংস খেলার দিনে এ ব্যাটসম্যান বললেন, দলের ভেতরের ব্যাপার বাইরে খোলাসা করা উচিত হয়নি কোচের। এর আগে ঢাকা পর্ব শেষে সিলেটে এসে ঢাকার কোচ খালেদ মাহমুদ সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান, প্রথম ম্যাচে কম্বিনেশনের কারণে একাদশে না রাখতে পারলেও পরে মূলত শৃঙ্খলাভঙ্গের শাস্তি হিসেবে ম্যাচ খেলানো হযনি সাব্বিরকে। গত ১ জানুয়ারি দলের কাউকে না জানিয়ে অনুশীলনে অনুপস্থিত ছিলেন সাব্বির। তবে সাব্বিরের নিজের দাবি অন্যরকম। বিপিএলে সিলেট পর্বের প্রথম ম্যাচে সুযোগ পেয়ে ৭ বলে ২ রান করে আউট হননি। দ্বিতীয় ম্যাচে গত বৃহস্পতিবার নিজের সেরা সময়ের সেই ঝলক দেখিয়ে ৩৩ বলে ৮২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি ৯টি ছক্কায়। দল যদিও হেরে যায় পরে। তবে সাব্বিরের ক্ষোভ নিজ দলের কোচকে নিয়ে। শৃঙ্খলাভঙ্গের ওই ঘটনা নিয়ে উল্টো কোচ খালেদ মাহমুদের দিকেই আঙুল তুললেন সাব্বির। ‘ছোট থেকে হ্যান্ডলিং করছি আসলে সব মিলিয়ে, বড় হয়ে নিজেকে কীভাবে সামলাব। কোচের সঙ্গে কথা হয়েছে আমার। কোচকে বলেছিলাম যে আমার পারিবারিক ইস্যু ছিল। উনি হয়তো বুঝতে পারেননি।’
‘ইন্টার্নাল কথাগুলা প্রেসে না বলাই ভালো। যেহেতু সাব্বির রহমান, কিছু হলেই ডিসিপ্লিনের কথা চলে আসে। আমি চেষ্টা করি ঠিক করার জন্য। আশেপাশে কিছু লোক হয়ত ভালো হতে দিচ্ছে না, পুশ করছে আমাকে। এটা নিয়ে আসলে আমি অত চিন্তিত না। আমার কাজ খেলা, পারফর্ম করা সেটাই করছি এখন,’ যোগ করেন সাব্বির। যদিও পারফর্ম করার সেই প্রমাণ নেই তার পারফরম্যান্সে। বিপিএলের আগে জাতীয় লিগ টি-টোয়েন্টিতে তিনি সুযোগই পাননি। এই টুর্নামেন্টের আগে সবশেষ স্বীকৃত ক্রিকেটে সবশেষ ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি আট মাস আগে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে। সেই টুর্নামেন্টের ৭ ম্যাচে কোনো ফিফটি ছিল না তার, মোট ১৪০ রান করেছিলেন ২১.৬৬ গড়ে। বিপিএলে গত আসরে তিনি দলই পাননি। ২০২৩ আসরে খুলনা টাইগার্সের হয়ে চারটি ম্যাচ খেলে মোট ২৮ রান করার পর আর সুযোগ পাননি।