দেশের অন্যতম ক্রীড়া ফেডারেশন কুস্তি। গত ১৯ মার্চ নতুন অ্যাডহক কমিটি গঠিত হলেও কোন সুখবর নেই কুস্তিগীরদের জন্য। কারণ নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রহমান জীবনের সময় কাটছে হাসপাতালে। প্রায় ৮৪ বছর বয়সী এই সংগঠক নানা রোগে জর্জরিত। কমিটির সভাপতি ব্রি. জেনারেল (অব.) ফখরুদ্দিন হায়দারের কথা, ‘আমরা ফোন করেও উনাকে পাচ্ছি না। এ জন্য এতদিন কোনো কার্যক্রমই চালাতে পারিনি। শুনেছি, তিনি কিডনি জটিলতায় ভুগছেন। কমিটি ঘোষণার আগে থেকেই ডায়ালাইসিসের জন্য হাপাতালে যেতে হচ্ছে তাকে।’ ক্রীড়াঙ্গণে সংস্কারের জন্য ক্রীড়া ফেডারেশনগুলোতে নতুন অ্যাডহক কমিটি দিচ্ছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। সার্চ কমিটির সুপারিশ করা সেই অ্যাডহক কমিটি নিয়ে নানা সময় বিতর্ক আর সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে ক্রীড়াঙ্গণে।
দীর্ঘদিন কুস্তির কুরসিতে থাকা তাবিউর রহমান পালোয়ানকে বাদ দিয়ে নতুন অ্যাডহক কমিটি গঠন করে ক্রীড়া পরিষদ। যে কমিটিতে সভাপতি হিসাবে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিও্এ) সাবেক মহাপরিচালক ব্রি. জেনারেল (অব.) ফখরুদ্দিন হায়দারকে সভাপতি এবং মামুনুর রহমান জীবনে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। কিন্তু কমিটি ঘোষণার পর থেকেই লাপাত্তা জীবন। এতদিন লাঠিতে ভর করে আসতেন স্টেডিয়াম পাড়ায়। কিন্তু কমিটি ঘোষণার আগে থেকেই হাসপাতালে যেতে হচ্ছে তাকে। প্রায় শতবর্ষী একজনকে সাধারণ সম্পাদক করায় সমালোচনা কম হয়নি কুস্তি অঙ্গণে। তাছাড়া নতুন কমিটিতে রাখা হয়নি সাবেক কুস্তিগীর ও দীর্ঘদিন কুস্তির সঙ্গে জড়িয়ে থাকা মেসবাহ উদ্দিন আজাদ কিংবা আবদুল মুবিন ফাইটারকে। এ নিয়ে বেশ আক্ষেপ করতে শোনা গেছে কমিটির কোষাধ্যক্ষ মাসুদ আক্তার মোবারকিকে।
তিনি বলেন, ‘সাধারণ সম্পাদককে আমরা পাচ্ছি না। উনি ফোন ধরছেন না। মেসবাহ উদ্দিন আজাদ কিংবা আবদুল মুবিনের মতো অভিজ্ঞ লোকদের কাউকে রাখা উচিত ছিল কমিটিতে। তাহলে এগিয়ে যাওয়ার পথটা আমাদের মসৃন হতো।’ তবে এগুনোর পথ খুলেছেন সভাপতি নিজেই। তার কথা, ‘গত বুধবার পুরোনো কমিটি আমাদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছে। পরদিন যুগ্ম সম্পাদক ফারুক উদ্দিন আহমেদকে সাধারণ সম্পাদকের চলতি দায়িত্বে রেখে কাজ শুরু করেছি।’ এ বিষয়ে জানতে চেয়ে ফোন করলে বন্ধ পাওয়া গেছে মামুনুর রহমান জীবনের মুঠোফোন।