ঢাকা শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

আইপিএল স্থগিত আয়োজনে রাজি নয় দুবাই

আইপিএল স্থগিত আয়োজনে রাজি নয় দুবাই

একই সঙ্গে একই সময়ে উপমহাদেশে দুইটি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ শুরু হয়েছিল। আগে শুরু হয়েছিল ভারতের আইপিএল, কয়েক দিন পরে যাত্রা শুরু করেছিল পাকিস্তানের পিএসএল। সব কিছু ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু হঠাৎ করে জম্মু কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলা নিয়ে উত্তেজনার জেরে নতুন করে যুদ্ধে জড়িয়েছে প্রতিবেশি দেশ দু’টি। যেটার প্রভাব পড়েছে ক্রীড়াঙ্গনেও। ভারতের ড্রোন হামলায় গতকাল রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়াম কমপ্লেক্স ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) সংযুক্ত আরব আমিরাতে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। রাতে পাল্টা জবাব দিয়েছে পাকিস্তানও। জম্মুসহ ভারতের সীমান্তবর্তী কয়েকটি জায়গায় মিসাইল হামলা চালিয়েছে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী।

নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ধর্মশালায় গত বৃহস্পতিবার আইপিএলে পাঞ্জাব কিংস-দিল্লি ক্যাপিটালস ম্যাচ মাঝপথে বাতিল করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার এক সপ্তাহের জন্য টুর্নামেন্ট স্থগিত রাখার ঘোষণাও দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। এরপরই প্রশ্ন উঠেছে-পিএসএল আরব আমিরাতে সরিয়ে নেয়া হলেও আইপিএল আপাতত বন্ধ রাখা হলো কেন? উত্তরটা দিয়েছে পাকিস্তানের টেলিভিশন চ্যানেল জিও সুপার। সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, আইপিএলের বাকি ম্যাচগুলো আয়োজন করতে আরব আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডকে (ইসিবি) প্রস্তাব দিয়েছিল ভারত। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি তাদের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে। কারণ, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) পিএসএলের বাকি অংশ দুবাই বা আবুধাবিতে আয়োজনের বিষয়টি ইসিবিকে আগেই জানিয়ে রেখেছিল। ইসিবিও পিসিবিকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছিল।

সে প্রতিশ্রুতি থেকে তারা সরে আসবে না। এবারের পিএসএলে বাকি এখনও ৮ ম্যাচ। এদিকে আইপিএলে বাকি আরও ১৫ ম্যাচ। কম ম্যাচ বাকি থাকায় আইপিএলের আগেই পিএসএল শেষ হয়ে যাবে। পিসিবির মতো বিসিসিআইও বিকল্প ভেন্যু হিসেবে আরব আমিরাতে বাকি ম্যাচ আয়োজন করতে চেয়েছিল। এ ব্যাপারে ইসিবি বিসিসিআইকে সাফ জানিয়ে দেয়, পিসিবি এরই মধ্যে তাদের ভেন্যু বুকিং দিয়ে রেখেছে।

জিও সুপার আরও জানিয়েছে, ইসিবি ‘না’ বলে দেয়ার পর সেপ্টেম্বরে আইপিএলের বাকি অংশ আয়োজন করতে চেয়েছিল বিসিসিআই। কিন্তু সেই সময় এশিয়া কাপ থাকায় দুই টুর্নামেন্টের সূচি সাংঘর্ষিক হয়ে উঠতে পারে, তা ছাড়া আসন্ন এশিয়া কাপেরও আয়োজক ভারত।

তাই আইপিএলের সঙ্গে এশিয়া কাপও আয়োজন করা তাদের জন্য খুবই কঠিন হয়ে উঠবে। ভারতের কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বিসিসিআই এক সপ্তাহ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে। এরপর অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেবে। শেষ পর্যন্ত বাইরে কোথাও সম্ভব না হলে ভারতেরই নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত স্থানে আইপিএলের বাকি অংশ আয়োজন করা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ভারতের দক্ষিণের দুই রাজ্য তামিলনাড়ুর চেন্নাই ও কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে বাকি ম্যাচগুলো হতে পারে। ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত থেকে চেন্নাই ও বেঙ্গালুরুর দূরত্ব বহুদূর। এই দুই শহরে যুদ্ধের আঁচ লাগার সম্ভাবনা নেই বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত